নদী পথে পাপেট শো

এক. সিনেমার নাম ‘কমলা রকেট’। স্টিমারের প্রথম ও সাধারণ শ্রেণীর সব যাত্রী একই লাইনে খাবারের জন্য দাঁড়িয়েছে। বৈষয়িক হিশেব-নিকেশে তাদের মাঝে মেলা পার্থক্য। আবার প্রথম শ্রেণীতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে পার্থক্য, একই পার্থক্য সাধারণ শ্রেণীতে গিজগিজ করা যাত্রীতেও। কিন্তু টিকে থাকা আর জীবন সম্পর্কে অনিশ্চয়তা তাদের মধ্যে এজমালি। দর্শক তো সর্বদ্রষ্টা এখানে। পর্দার বাইরে থেকে…

কান পেতে রই

অনলাইনে দেখলাম উপন্যাস থেকে সিনেমা হওয়া ‘দ্য বুক থিফ’-এর সংলাপগুলা বেশ মশহুর। সুবিধাই হলো। সংলাপটি পেয়ে গেলাম যেখানে কিশোরী লিসেলকে ইহুদি তরুণ ম্যাক্স বলছে, ‘ওয়ার্ডস আর লাইফ’। হিটলারকালের জার্মান কিশোরী লিসেল। যাকে দত্তক নেওয়া পরিবার এক ইহুদী তরুণকে (ম্যাক্স) লুকিয়ে রাখে বেজমেন্টে। ম্যাক্সের সঙ্গে গড়ে উঠে লিসেলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তখন চলছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

বুড়ো লোগানের মৃত্যুর আগে

উলভারাইনের আরেক নাম লোগান। তিনি মোটামুটি চিন্তায় ফেলে দিছিলেন। অল্প সময়ের জন্য। ‘লোগান’ নামের আপকামিং সিনেমায় তারে বুড়ো দেখা যাবে। চামড়া কুঁচকে যাওয়া. থরথর করে কাঁপতে থাকা হাত। প্রশ্ন হলো— সুপারহিরো বুড়ো হয় কেমনে? অনেক দেরিতে মাথায় আসল সুপারহিরো যদি বাচ্চা বা বালক হতে পারে বুড়ো হইতে পারবেন না অথবা মরবেন না ক্যান? সুপারম্যানের মরে…

আয়নাবাজি ও অবশিষ্ট

‘আয়নাবাজি’র শুরুর দৃশ্যে একটি লাশ দেখা যায়। হাসপাতালে। লাশটা কার? পুরো সিনেমা বিছড়াইয়া তার হদিস পাই নাই। দুইজনকে জিজ্ঞেস করে দুই ধরনের উত্তর পাইলাম। এবেলায় ‘লাশের রাজনীতি’র দিকে পা না বাড়াইয়া স্মৃতির আয়নায় ‘আয়নাবাজি’র অবশিষ্ট দেখা যাক! সিনেমাটার মূল চরিত্র আয়না (চঞ্চল চৌধুরী)। সিনেমায়ও তিনি অভিনেতা। যার অভিনয়ে বুঁদ হয়ে দর্শক হয়ত গল্পে না থাকা…

ফাঁদ পাতা দুনিয়ায় জেসন তোমায় দরকার নাই!

জেসন বর্নরে (ম্যাট ডেমন) সিআইএ’র নারীরা সবসময় ভালো পায়। খালি পুরুষ বসগুলো তারে মারতে চায়। এই করে করে শেষ বসটাও মারা গেলে ‘জেসন বর্ন’ সিনেমায়। তাও আবার সিআইএ’র সাইবার অপারেশনস ডিভিশনের প্রধান হিথার লি (এলিসিয়া ভিকান্ডার)-এর হাতে। হিথারের ধারণা আউটল’ হইলেও জেসনরে কাজে লাগানো যাবে। যদিও তিনি পুরোপুরি সন্দেহমুক্ত ছিলেন না। এই জায়গা আইসা মনে…

বার্ডম্যান : ভালো লাগা আর না লাগা

আলেকজান্দ্রো গনজালেস ইনারিতুর দুটা সিনেমা দেখেছিলাম আগে। ‘আমোরেস পেরোস’ ও ‘বাবেল’— সিনেমা দুটা আমার ভালো লাগে নাই, এগুলো বিখ্যাত ‘ডেথ’ ট্রিলজির অংশ। মৃত্যুকে এখানে যেভাবে হাজির করা হয়েছে। তা আমাকে স্বস্তি দেয় নাই। মনে হয়ছে জীবনে মৃত্যুর অর্থপূর্ণতাকে হাজির করতে পারার ব্যর্থতা ঘটছে। এতদিন পর ‘বার্ডম্যান অর (দ্য আনএক্সেপ্টেড ভার্চু অব ইগনোরেন্স)’-এ মুগ্ধ হইয়া ভাবতেছিলাম…