সুপারহিরো বাদ দিয়ে অ্যান্টিহিরোর পক্ষে দাঁড়াইতে মন চায়

রাজেশ খান্না অভিনীত বিখ্যাত একটা হিন্দি ছবি ‘রোটি’, যা আবার হলিউড সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত। সেই হিন্দি ছবির গানসহ প্রায় হুবহু নির্মাণ জাফর ইকবাল ও ববিতা অভিনীত এবং ইবনে মিজান পরিচালিত ‘এক মুঠো ভাত’। বাংলা মুভি ডেটাবেজে চমৎকার সেই ছবির একটা রিভিউ পড়তেছিলাম। যার শিরোনাম, ‘যে সমাজে ক্ষুধার্ত মানুষ নাই, সেই সমাজে অপরাধ নাই!’ যখন ম্যাট…

রাজনীতির কাছে তাল হারিয়েছে ‘ডিউন’

হালের হিট হলিউড সিনেমা ডিউন’ আমেরিকান লেখক ফ্রাঙ্ক হারবার্টের ১৯৬৫ সালের একই নামের সায়েন্স ফিকশন সিরিজ অবলম্বনে নির্মিত। শুরু থেকেই উপন্যাসের ধর্ম-সংশ্লিষ্টতা, বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম থেকে প্রভাবিত হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়ে আসেছে। অক্টোবরে ছবি মুক্তির পরও সেই আলোচনা আবার ওঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।* মহাকাব্যিক ডিউন ভবিষ্যৎ মহাবিশ্বের প্রেক্ষাপটে ডিউন উপন্যাসে মিথস্ক্রিয়া করেছে রাজনীতি, ধর্ম,…

সিনেমার খারাপ মানুষ যখন করুণা চুরি করে

হয়তো প্রত্যেক ভিলেনই একেকজন অ্যান্টি-হিরো। শুধু তার ইতিহাসটা জানা লাগে। খুবই একরোখা কথা, পুরোপুরি সত্য হবে না বলেই জানি। কিন্তু প্রত্যেক ঘটনার অন্যপিঠও থাকে! ১৯৮০ সালের একটা ছবি দেখতে দেখতে এ কথা মনে হলো। ছবির নাম গাংচিল, সিনেমায় যেটা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জাহাজের নামও। পরিচালক রুহুল আমিন। নায়ক-নায়িকা বুলবুল আহমেদ ও অঞ্জনা। তবে যে…

আলমগীর কবিরই রূপালি সৈকতের নায়ক, অভিনেতারা বাহানা মাত্র

এক. রূপালি সৈকতে অপেক্ষা করে লাবণ্যময়ী নারীরা। চাঁদনী রাতে ফিরে আসে প্রিয়জন… না, ফিরেও যায় কেউ কেউ। কিন্তু এই দুই পুরুষই আলাদা কেউ নয়, একজনই। একটু হয়তো আশ্চর্য হবেন, পাগলামীও মনে হবে— আলমগীর কবিরের ‘রূপালি সৈকতে’ সিনেমায় বুলবুল আহমেদ ও আনোয়ার হোসেন মূলত একই মানুষ। একই সত্তার দুই পিঠ। তিনি আলমগীর কবির স্বয়ং। সিনেমা সম্পর্কে…

এক্সট্র্যাকশন: বেদিশা ভাবমূর্তি

এক. একটা কৌতুক বলি! ‘এক্সট্র্যাকশন’ দেখার পর হলিউডের জ্যারেড লেটো বুঝতে পারবে- তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে সাবিলা নূরের চেয়ে আসলেই কম জানতেন! হুদায় পাড়া-মহল্লারে জায়ান্ট বইলা ভাব নিতেছিল। দুই. আমরা যারা ভাবমূর্তি নিয়া এমন সরব- বাংলাদেশ রাষ্ট্রটা কেমন চলে, কীভাবে চলে- আমরা জানি না বা বেখবর আছি। যেহেতু ‘এক্সট্র্যাকশন’ সিনামায় যা দেখাইছে তা ভুল কি-না তাও…

জোকারের রাজনীতি

মাল্টিপ্লেক্সে ‘জোকার’ দেখছিলাম। একটা দৃশ্যে জোকার আর্থার পুরোনো ক্ষোভ থেকে নৃশংসভাবে সহকর্মীকে মেরে ফেলে। ঘটনাস্থলে থাকা খর্বাকৃতির অন্য সহকর্মী মনে করে তাকেও মেরে ফেলবে। ভয় পেয়ে মানুষ কত কিছুই না করে! দর্শক হিসেবে গা শিরশির করারই কথা সাধারণত। অথচ আশপাশ থেকে থেমে থেমে হাসির আওয়াজ আসছিল। যদিও আর খুন করে না জোকার। কারণ ওই মানুষটি…