বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রজ অভিনেতা আনোয়ার হোসেন অতিসম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন। তাকে বলা হয় মুকুটহীন নবাব। এটা বোধকরি আমাদের সবার জানা আছে। তাসত্ত্বেও, আমরা এই সময়ের দর্শকেরা তার সম্পর্কে খুব একটা ধারণা রাখি না বা তার শেষদিকের ছবিগুলো আমাদের বড় ধারণা দেয় না। এটা হতে পারে এই ইন্ড্রাস্টিতে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেয়ার ট্রাজেডি অথবা আপন খামখেয়ালী। তা সত্ত্বেও সীমিত অনুসন্ধানে তার কিছু ভালো কাজের সন্ধান পেতে পারি এখনো। এছাড়া তার সম্পর্কে জানা আগ্রহ কমেছে এমন না। এসব বিষয়ের খুবই সামান্যের উপর আলো ফেলার চেষ্টা করব এই লেখায়। তবে কনফেশনটা জারি রাখি- যখন কেউ থাকে আমরা মনে রাখি না, মরে গেলে লোক দেখানো হায় হায় করি!
এক.
রাজ্জাক অভিনীত সর্বশেষ যে ছবিটি দেখেছি- জজ ব্যারিষ্টার পুলিশ কমিশনার (এফ আই মানিক, ২০১৩)। রাজ্জাক নি:সন্দেহে ইন্ড্রাস্টিতে বেশ ক্ষমতাধর অভিনেতা ও পরিচালক। রাজ্জাকের উপর মহিমা আরোপ করে বলা হয় নায়করাজ রাজ্জাক। সুতরাং তিনি ভালো অলংকারও বটে। শুধু বাংলাদেশে নয় কলকাতার ছবিতেও অভিনয় করেন। কিন্তু চিন্তা করুন তো বর্তমানে নায়করাজ অভিধার সাথে মানায় এমন কোন চরিত্রে কি তিনি অভিনয় করছেন। যে মুভিটির কথা বলছিলাম- সেখানে তিনি নায়ক শাকিব খানের বাবা জজ চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবির প্রথম অংশে মুখে এক গাদা মেক আপ আর গোঁফ রেখে কম বয়েসী সাজার বৃথা চেষ্টা করেছেন আর শেষ অংশে পুত্রের বিচার করার ক্লাইমেক্সে হাজির হন। অথবা অন্য মুভিতে গতানুগতিক বাবার চরিত্র আর শুরুর দিকে সেই একই কায়ধায় গাদা মেক আপ ছড়িয়ে তরুন সাজার বৃথা চেষ্টা করেন। এভাবে চলচ্চিত্র অন্তপ্রাণ একদা তরুন এবং জনপ্রিয় নায়কদের টিকে থাকতে হয়।স্বভাবত এইসব অভিনয়ের তলে তাদের আগের অর্জনগুলো ম্লান (আসলে কি তাই!) ও ক্লিশে হয়ে উঠে।
সে জায়গায় আরো প্রবীন আনোয়ার হোসেন তো ছার। কারণ গত দুই দশকের ছবি দেখুন- দুই একটা চরিত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। সেখানে আনোয়ার হোসেনদের অভিনয়ের চৌহদ্দি সীমিত ও অনাকর্ষনীয়। তাই আমরা যারা সেইসব শক্তিমান অভিনেতাদের কিং অব হার্ট অ্যাটাক উপাধি দিই- তাদের ভুল কতটুকু। প্রায় ছবিতে আনোয়ার হোসেন ও প্রবীর মিত্রকে হার্ট এটাক করা দৃশ্যে দেখে কোন এক তরুণের দেয়া জনপ্রিয় অভিধা- যেটা কিছুদিন আগেও ফেসবুকে খুব ব্যবহার হতো। এটা শুধু এই প্রজম্মের নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা। তাদের আমরা একেকটা উপাধি দিই কিন্তু অভিনয়ের কোন মূল্যায়ন চোখে পড়ে না। কে কেন অনন্য তা বলার প্রয়োজনও নাই। অর্থ্যাৎ, অতীত আর বর্তমানের মধ্যে কোন সেতুবন্ধন জারি নাই।
বছরের পর বছর একই ফর্মে ঘোরাঘুরির মধ্যে তাদের স্থান কোথায়। দাদু বা কেয়ারটেকার চরিত্রের মধ্যে তারা বেঁচে থাকেন। তারা চাইলেও এটা ছাড়তে পারেন না। প্রয়োজনটা শুধু পেশাগত নয়, বেঁচে থাকারও। এই অর্থে যে, অভিনয়ই তাদের জীবনের একমাত্র ব্রত। পরিহাস, এই অভিনয় নিচেই হারিয়ে যায় অভিনয়ের অর্জন।
দুই.
চলচ্চিত্র প্রথমত ও প্রধানত বিনোদনের মাধ্যম। জীবন যাপনের মধ্যে দর্শকদের জন্য এক ধরণের স্বস্থি উৎপাদন করে। অবশ্যই সবসময় স্বস্থি উৎপাদন করে এমন না। তারপরও সচরাচর পর্দায় যা থাকে বাস্তব মনে হলেও কল্পনা ও দূরের বিষয়। কিন্তু এর সাথে সমাজ সংসারের (সমাজ কল্পনাটা কাল্পনিকও হতে পারে) নানান সম্পর্ক জোরদার থাকে। ফলে বিনোদন বললেও একেবারে অলীক কিছু নয়। বরং জীবনকে নানাভাবে উদযাপনও করা হয়ে থাকে এর মাধ্যমে। আশা-নিরাশা ও ভালো-মন্দ এতে মূর্ত হয়ে উঠে।
ইতিহাসের নানান মুহুর্ত এর মধ্য দিয়ে সাক্ষাত বা প্রতীকিভাবে হাজির হয়। সে হাজিরানায় কখনো কখনো মূল ঘটনা হারিয়ে গিয়ে নতুন রূপ, চিত্রভাষ্য ও ব্যাখ্যা এস্তেমাল করে। যেমন আনোয়ার হোসেন অভিনীত নবাব সিরাজউদ্দৌলা (খান আতা, ১৯৬৭) চলচ্চিত্রটি। এমনও মনে হয় নবাব সিরাজউদ্দৌলা নামটি উচ্চারণের সাথে সাথে হাজির হয় আনোয়ার হোসেনের চেহারা। এই প্রতিস্থাপন এমনি এমনি হয় নি, অনেক আশা-আকাঙ্খা আর ভালোবাসাকে ধারণ করেছে। ধারণ করেছে বাংলার মানুষ- যারা এই ট্রাজেডিকে আজীবন ধরে রেখেছে। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, নবার সিরাজউদ্দৌলা কি এমন থিয়েটারি ভঙ্গিতে আর বাংলায় কথা বলতেন। বলতেন না, অন্তত ইতিহাস তাই বলে। কিন্তু নি:সন্দেহে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব বললেই তার চেহারা আর সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘বাংলা বিহার উড়িষ্যা…’ আপনার স্মৃতিতে আসছে। অর্থ্যাৎ, এই চিত্রভাষ্য আমাদের আশা-আকাঙ্খার সাথে মিশে গেছে। এই ক্ষেত্রে আনোয়ার হোসেন এতটা স্বার্থক যে গত দশক পর্যন্ত যাত্রামঞ্চে তাকে প্রায় দেড় হাজার বার এই দৃশ্য পৃনরোৎপাদন করতে হয়েছে।
মজার বিষয় হলো এই রাজা বাদশা বা এমন বিদ্রোহী চরিত্র তাকে বারবার করতে হয়েছে। তিনি বাস্তবের চরিত্র ঈশা খাঁ (মহিউদ্দিন, ১৯৭৪) বা শহীদ তীতুমীর (ইবনে মিজান, ১৯৬৮) করেছেন- যেগুলো আমাদের বিদ্রোহী চেতনার একেকটিরূপ। তেমনি করেছেন অরুন বরুন কিরণমালার (খান আতা, ১৯৬৮) মতো ফোক চলচ্চিত্রের রাজার চরিত্র- যিনিও নিয়তি দ্বারা বিড়ম্বিত। যে নিয়তি নিয়ে খেলেছে আমাদের ফোক জগত, সে নিয়তি কি আমাদের নিয়েও খেলে না। এইসব ঐতিহাসিক-অনৈতিহাসিক কাতরতার মধ্যে যেন আনোয়ার হোসেন মিশে আছেন।
তিন.
একটি ফেসবুক গ্রুপের সদস্যের (মুসাফির মাহমুদ) লিখনী থেকে জানা গেল- ‘এতোদিন আনোয়ার হোসেনকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বলে জানতাম। আজ তার অভিনীত কুয়াশা (আজিজুর রহমান, ১৯৭৭) দেখলাম মাইটিভিতে। দুর্ধর্ষ গুপ্তচর মাসুদ রানার স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেনের কুয়াশা সিরিজের নায়ক ছিলেন অভিনেতা আনোয়ার হোসেন!! যাজকদের মত কালো কোট, কালো হ্যাট, কালো সানগ্লাস পড়া, কুংফু লড়িয়ে আনোয়ার হোসেন!!! ভিলেন গোলাম মোস্তফা স্পীডবোটে করে তাড়া করছেন কুয়াশারুপী আনোয়ার হোসেন ও ছবির নায়িকাকে। হাফহাতা বটলনেক টিশার্ট পরা নায়ক আনোয়ার হোসেন ওয়ালথার পিপি পিস্তল দিয়ে গুলি করছেন !!!! গোলাম মোস্তফা ডেনিম প্যান্ট আর লেদার জ্যাকেট পরা। কোল্ট হাতে গুলি করে যাচ্ছেন অনায়াসে !!!!! এই ছবিটি সাদাকালো । ৪৫, ৪৬ বছর আগের ছবি হবে কমপক্ষে । এত স্মার্ট ছিলো ঢালিউডের ছবি !!!! ভাবাই যায় না । UNTHINKABLE’
চলে গেলে যা হয়! এমন ইন্টারেস্টিং কথাবার্তা জানা যায়। আমরা অবাক হবো আর ভুলে যাবো।
চার.
স্মৃতি থেকে আনোয়ার হোসেনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রের কথা বলা যাক-
সূর্যস্নান (সালাউদ্দিন, ১৯৬২) ছবিতে তিনি শ্রমিকের সরল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যেখানে মালিকের কথা মতো অন্য কারখানার মাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন, পরে একটা খুনের দায়েও অভিযুক্ত হন। এরপর নানা ঘটনা ঘটে। মালিক কর্তৃক অপমান সইতে না পেরে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করে। অনেক বছর তিনি জেল থেকে মুক্ত হন, প্রতিশোধ নিতে মালিকের মেয়েকে অপহরণ করেন। চমৎকার নাটকীয় সেই ছবিতে তার দুর্দান্ত মুখভঙ্গি যে কোন দর্শককে মুগ্ধ করবে। শুধু একপ্রেশন দিয়ে তার বুঝিয়ে দেন তার মনের ভাব। কঠোর ও কোমল মেশানো একটি চরিত্র।
জীবন থেকে নেয়া (জহির রায়হান, ১৯৭০) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অনন্য একটি ছবি। এই ছবিতে তার চরিত্র একজন রাজনীতিবিদের। এই চরিত্রটি এখন খুবই আইডিয়াল মনে হতে পারে। কিন্তু ষাট দশকের প্রেক্ষাপটে- যখন ছাত্র রাজনীতি ও স্বাধিকার আন্দোলন জোরালো হয়ে উঠছিল- তখনকার একজন সৎ রাজনীতিবিদের তেজ যেন ঝলসে উঠে তার প্রতিটি উচ্চারণে ও বজ্রমুষ্ঠিতে। এখানেও তার অভিনয় কালজয়ী।
রাজা বা বিদ্রোহী বা সাধারণ গ্রামীন চরিত্র- এই ধারার বাইরে তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বড় ভালো লোক ছিল (মহিউদ্দিন, ১৯৮২) চলচ্চিত্রের চরিত্রটি। এখানে তিনি একজন পীরের প্রধান খাদেমের চরিত্রে অভিনয় করেন। তার লিপে কিছু আধ্যাত্মিক ভাবের গানও আছে। একদম অন্য রকম একটি চরিত্র। বাংলা চলচ্চিত্রে এটিকে ইউনিক চলচ্চিত্র ও চরিত্র বলা যাবে। অভিনয় দেখার দরকার নাই- আনোয়ার হোসেনের তাকানোর কোমল ভঙ্গিটিই বলে দেবে অভিনেতা হিসেবে তিনি কতটা উচুঁমানের। শুধুমাত্র চোখের ভাষাই অনেক কথা বলা যায়- এই ছবি দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে।
অরুণোদয়ে অগ্নিস্বাক্ষী (সুভাষ দত্ত, ১৯৭২) মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র। এখানে উঠে এসেছে চলচ্চিত্রের নবাব সিরাজউদ্দৌলার অভিনেতা বাস্তবের যুদ্ধে কিভাবে অভিনয় করে। শিল্প ও জীবনের দ্বৈরথটা চমৎকারভাবে ফুটে উঠে তার অভিনয়ে মাধ্যমে। এই যে চলচ্চিত্রের নবাব আর বাস্তব জীবনের মুক্তিযুদ্ধ- এর মধ্যকার দ্বন্ধ, কাপুরুষতা, হীনমন্যতা এবং মানুষের জয়ের অনন্য অভিব্যক্তি পাওয়া যায় এই ছবিতে তার অভিনয়ে।
পাঁচ.
জীবনী সংক্ষেপ:আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩১ সালে ময়মনসিংহের সরুলিয়া গ্রামে। পিতা নাজির হোসেন ছিলেন জামালপুরের সাব-রেজিস্ট্রার। ১৯৫১ সালে জামালপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন করে আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবনে মঞ্চ নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং নাসিমা খানমকে বিয়ে করেন। সে বছরই ঢাকা বেতারের নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। নাটকটির নাম ছিল নওফেল হাতেম।
আনোয়ার হোসেনের শুরুটা হয়েছিল খলচরিত্রের মধ্যমে। মহিউদ্দিন পরিচালিত সেই ছবির নাম ছিল ‘তোমার আমার’ (১৯৬১)। তার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ছিল ‘সূর্যস্নান’ (সালাউদ্দিন, ১৯৬২)। এরপর একে একে অভিনয় করলেন— জোয়ার এলো (আব্দুল জব্বার খান, ১৯৬২), কাঁচের দেয়াল (জহির রায়হান, ১৯৬৩), নাচঘর (আব্দুল জব্বার খান, ১৯৬৩), দুই দিগন্ত (ওবায়েদ উল হক, ১৯৬৪), বন্ধন (কাজী জহির, ১৯৬৪), একালের রূপকথা (ইবনে মিজান, ১৯৬৫) প্রভৃতি ছবিতে। তিনি ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এই কথা সহজে বলা যায়, তার সময়ের শ্রেষ্ট নির্মাতাদের প্রায় সবারই সাথে তিনি কাজ করেছেন।
১৯৬৭ সালে বাংলা ও উর্দু ভাষায় নির্মিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবিতে কাজ করার পর আনোয়ার হোসেনকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র পর অভিনয় করেন ‘অপরাজেয়’ (এম এ হামিদ, ১৯৬৭) ও ‘পরশমণি’তে (জহির চৌধুরী, ১৯৬৮)। নায়ক হিসেবে তার শেষ ছবি ‘সূর্য সংগ্রাম’ (আবদুস সামাদ, ১৯৭৯)। ‘পালঙ্ক’ (রাজেন তরফদার, ১৯৭৬) তার জীবনের এক স্মরণীয় চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় এই ছবিতে আনোয়ার হোসেনের অভিনয় দেখে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। ১৮ আগস্ট ২০১৩ তিনি তার দীর্ঘদিনের প্রিয় কর্মস্থল এফ.ডি.সি-তে শেষবারের মতো যান।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ও প্রদানকৃত জাতীয় পুরস্কার পেলেন ‘লাঠিয়াল’ (নারায়ন ঘোষ মিতা, ১৯৭৫) ছবির জন্য। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছিলেন। আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’তে সহ-অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেলেন ১৯৭৮ সালে। এরও আগে ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’য় অভিনয় করে পাকিস্তানের নিগার পুরস্কার পেয়েছিলেন। অভিনেতাদের মধ্যে তিনিই ১৯৮৮ সালে প্রথম একুশে পদক পান।২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি। ২০১১ সালের ২৪ জুন একটি অনুষ্ঠানে তাকে আজীবন সম্মাননা দেয় ওয়ালটন-বৈশাখী স্টার অ্যাওয়ার্ড।
……………….
আনোয়ার হোসেনকে মনে পড়লে একটা গান ও দৃশ্য মনে পড়ে। ছবির নাম দর্পচূর্ণ (নজরুল ইসলাম, ১৯৭০)। গানের কথা হলো- ‘আমার দাদু লক্ষী ঘুমায়রে, মজার মজার স্বপ্ন নিয়ে ঘুমায়রে…’
আনোয়ার হোসেন ঘুমিয়ে থাকুন। শান্তিতে থাকুন।
> লেখাটি একই সাথে বাংলা মুভি ডেটাবেজ সাইটে প্রকাশিত।
তথ্যবহুল চমৎকার। স্মৃতি জাগানিয়া ও হৃদয়গ্রাহী।
শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ নাজমুল হুদা ভাই। আপনি এসেছেন- খুবই ভালো লাগল।
ছবিটা দীপ নেভে নাই। পরিচালক নারায়ন ঘোষ মিতা।