কবির পুনর্জন্ম

পুনর্জন্ম শুনলে আমার নাকে খানিকটা ধর্মতাত্ত্বিক গন্ধ লাগে! আবার খানিকটা রোমান্টিসাইজও করি। খামতিপূর্ণ মানবজীবন বলে কথা! এ জনমে যা হয় নাই- তা অপর জনমে হবে এরকম একটা ব্যাপার আছে। অথবা যা অপর জনমে করি নাই, তা এ জনমে চাই। অথবা অপর জনমে যা যা পাইছি তার ষোলআনা হক্ব আদায় করতে চাই। এমন ভাব ব্যক্তিভেদে কেমন…

জাফর ইকবালের রিটিন ও কল্পবিজ্ঞানের বাচ্চালোগ দশা

মেলা বছর আগের কথা। মশিউল আলমের একটা উপন্যাস পড়ছিলাম। সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞান। নামটা ২০৯৯ বা এ ধরনের কিছু। বুঝা যাইতেছে ভবিষ্যতের গল্প। ওই সময়ে যৌনতার মাধ্যমে সন্তান জন্মদান ছিল নিষিদ্ধ বা লজ্জার বা অপ্রচলিত বিষয়। মানুষ তৈরি হয় কারখানায়। প্রেম হইতো পুরুষে-পুরুষে বা নারী নারীতে। তো, দুই তরুণ-তরুণী প্রেমে পড়ে আদিম পদ্ধতিতে সন্তান পয়দার…

বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র ও মাসুদ রানা

নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংসের জন্য রাঙামাটিতে ডিনামাইট পাঠাচ্ছে ইন্ডিয়া। পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের (পিসিআই) মাসুদ রানা যাচ্ছেন তা ঠেকাতে। এভাবে আবির্ভাব বাংলাদেশি সাহিত্যের একমাত্র বৈশ্বিক গোয়েন্দার। কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখা মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই প্রকাশ হয় ১৯৬৬ সালে। ৪৪৭তম বই প্রকাশের মাধ্যমে ১৭ মে ৫০ বছর পূর্ণ করছে ঐতিহ্যবাহী সেবা প্রকাশনীর সিরিজটি। এ লেখার বিষয়…

ওয়ালীউল্লাহ পাঠ : নাই এবং আছে

এক. ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (আগস্ট ১৫, ১৯২২-অক্টোবর ১০, ১৯৭১) তৃতীয় ও শেষ উপন্যাস। বিখ্যাত লেখকের বিখ্যাত এই উপন্যাসের এমনই ধারা- উদ্বেগসঙ্কুল পাঠকদের খুবই উদ্বেগের মধ্যে রাখে। অথবা পাঠকদের আপন আপন জীবন আর তার অনিশ্চিত বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বেগসঙ্কুল করে তোলে। তাই, ক্ষীণকায় এই উপন্যাস পড়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। নিত্য আহজারিতে দেহ-মন…

প্রেমিকা অমর না হলে প্রেম চলে না

এক. হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের কথা মনে হইলেই একটা দৃশ্য চোখে ভাসে। কলেজে পড়া একটা ছেলে ফার্মগেটে গেছে ঈদ কার্ড কিনতে। আসার পথে তেজগাঁও কলেজের সামনের ছোট দোকানটা থেকে কিনে নিয়ে আসছে একটা বই। সেবার অনুবাদে ‘রিটার্ন অব শি’, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের বই। এটা তার বিখ্যাত চরিত্র আয়শার ফিরে আসার গল্প। কলেজে পড়া ছেলেটা আমি। বলতেছিলাম…

হেমিংওয়ের প্রিয় বই

আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (২১ জুলাই, ১৮৯৯ – ২ জুলাই, ১৯৬১) তার ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সী’, ‘ফর হুম দ্য বেল টলস’ ও ‘ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’-র মতো উপন্যাসের জন্য সমাধিক পরিচিত। আরো বইয়ের জন্য তিনি আছেন বিশ্বের অগণিত বইপ্রেমীর পছন্দের তালিকায়। নোবেলজয়ী হেমিংওয়ে ১৯৩৫ সালে এসকুয়ার ম্যাগাজিনে তার কিছু প্রিয় বইয়ের নাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে…