ছায়ায় জেগে আছে সে

ছায়ায় সে জেগে আছে ভোরে হাওয়ায় উড়ে যায় কেউ শির শির শব্দে ভর করে রাতের সুবাস। নিভে যাওয়া সলতেটুকু অনুমান করে জেগে থাকার অহঙ্কার মৃত পাখি হয়ে উড়ছে তার।

বিদ্যুৎ চমকায় শাহবাগে

শাহবাগে গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ তখন আরো গভীর হয় রাত বিদ্যুৎ চমকায় শাহবাগে বৃষ্টি আসবে ক্ষেতে তখন গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ নীহারিকা বাড়ি ফেরে বৃষ্টির ভয়ে।

অনতিদূরে কেউ

কার কথা বলছি এ মধ্যরাতে কাছে না এলে ভাবা হয় না এলেই শুধু তার অনুমান হয়। অনতিদূরে কেউ নদী হয়ে বসে থাকে, বয়ে চলে অপর হয়ে কথার মাঝে তার অধিক দুরত্ব আমার কোথায় আছে বলো।

তবুও কেমন করে হিম হয়ে

আমরা নৈঃশব্দ্যের ফিকির করি না তবুও কেমন করে হিম হয়ে আমাদের কথাগুলো জমে থাকে গহীনে- কোথায় যাবো বলো সব পথ মাড়িয়ে আমরা পৌছে যাই সাদা বালির দেশে।

পর্দা

অজস্র চোখের সামনে ঝুলতে থাকো তুমি অসীম বিস্তারে চোখ সীমানা হারালে হিসেব মেলে না শুধু হাওয়ায় দুলতে থাকা তোমার শরীরে লেগে থাকে জলের রেখা ছায়া ও ছোঁয়ার নির্মল দিব্যতায় ঢেকে দিতে চাই আপাত বিবর্ণতা।

মাঠ, বন ও হাওয়ার কথা

আমার যাইতে মানা, তাই চরাচরে বিস্ময়কে ঘুম পাড়িয়ে যেন তোমার হাত ধরে আছি আমার তো হাত ধরতে মানা, যেতে মানা কেমন করে বলো তোমার আসা যাওয়ায় পথে বেপথু বাসনা হয়ে বসে থাকে?