মান্দি আত্মার বিলাপ

শিকড়ে খরা। মিঠুন রাকসাম। প্রকাশক: থকবিরিম। প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০১১। প্রচ্ছদ: এম. আসলাম লিটন। ৪৮ পৃষ্টা। দাম: ৭০ টাকা।

মান্দিগ্রাম। যাকে আমরা গারো পল্লী বলি। শহুরে শিকারী মানুষদের ফসিল শিকারের উৎকৃষ্ট স্থান। নিজেদের অস্বাভাবিকত্ব আর বিকৃতির বাইরে যা আছে তাকে আমরা নানা নামে ডাকি। কেউ কেউ বলেন- মান্দিরা এই প্রগতির সংসারে অগতির মধ্যে আছেন (সুবিধা বঞ্চিত)। তারা যেন দূরে কোথাও ছিটকে পড়েছে- তাদেরকে মানুষ করা দরকার। জীবনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য, প্রাকৃতিকতা ও বৈচিত্র্যকে সমচেতনার নামে গলা টিপে হত্যা করতে হবে। অন্যরা নিম্ন বর্গীয় নামে ডাকেন। তারা নিশ্চিত উচ্চ বর্গীয়। এই বলাবলির ধরণ থেকে তাদের মোড়লীপনা- দিগগিরি সাফ সাফ বুঝা যায়। তারা নানাভাবে মান্দিদের কেটে-খুটে দেখেন। বিষম বিনোদন বটে।

মিঠুন রাকসামের জন্ম ও বেড়ে উঠা মান্দি গ্রামে। তিনি মান্দিগ্রামের মতোই সজীব জীবন্ত ও উপচে পড়া, মান্দি তার আত্মগত উচ্চারণ। তার যাপনের পরতে পরতে আছে মান্দি গ্রামের দিবস রজনীর টুং টাং শব্দ। আনন্দ- বিষাদে বাজে। ইট কাঠের ধূসর অরণ্যে বসে তিনি মান্দি গ্রামের সেই ধ্বনিরাজি শুনতে পান।

এইসব কথা বাইরে থেকে দেখা বিষয়ের পাঠ নয়। সেই পাঠে শহুরে মানুষ বিষয়ী নন আর মান্দি গ্রামও বিষয় নয়। বরং, মান্দি আত্মার স্বাগত উচ্চারণ। এরজন্য গল্পের বই নিয়ে কিছু বলার আগে মিঠুনের কাব্যিক প্রয়াসকে স্বাক্ষী মানলাম। মিঠুন তার দলিলে ভাটপাড়া গ্রাম (দলিলে ভাটপাড়া গ্রাম, ২০১০, থকবিরিম) কবিতায় বলছেন-

‘মান্দিকে বলে গারো- / তবে কি উপজাতি তকমা পরে’। /তিনি সেই দীর্ঘ কবিতায় আরো বলেন- ‘ঘুমাতে পারি না /বালিশে হেলান দিলে ভেসে ওঠে /মান্দি গ্রাম সবুজ বালিজুড়ি / ছোট ছোট চোখ তামাতে হাত / খোঁজে তামাটে আলু পাহাড়ের ঢালে / ওরা কি তিব্বতীয়? মা’র মুখে শোনা সে কাহিনি কি তবে সত্যি? / যারা বর্ণমালা খেয়ে ফেলেছিল / ভীষণ খুধায় কাতরাতে কাতরাতে বেঁচে গিয়েছিল’

মিঠুনের এই লাইনগুলোকে আত্ম-মর্যাদার পলকা মূল্য দিয়ে ওজন করার উপায় নাই। এটি  যাপনের ভেতর থেকে উৎসারিত অমূল্য শিল্পবস্তু। সে স্বতমূল্যেই সমুজ্জ্বল।তাই পাঠককে বলি ফসিল পরীক্ষার হাতুড়ি বাটালি ফেলে  মিঠুনের দেখানো মান্দি জীবনকে আত্মার কাছ থেকে দেখুন। ফিরতে বলি স্ফুতপূর্ত ও প্রাণবন্ত এই গদ্য ও গদ্য শিল্পীর কাছে।

ছাপা শিল্পে ছোট কাগজের চৌকাঠ পেরিয়ে মিঠুনের চারটি কবিতার বই বের হয়েছে ২০১০ সালের মধ্যে। ২০১১ সালে প্রকাশিত শিকড়ে খরা তার প্রথম গল্পের বই। স্বল্প আয়তনের এই বইয়ে মোট নয়টি গল্প আছে। গল্পগুলো হলো ‘মাগন কামলা’, ‘শিকড়ে খরা’, ‘চকমেলা’, ‘কারবার’, ‘এক যুবতীর স্বপ্ন’, ‘চিংগিরি’, ‘ডালিম গাছ পাখি ও মেয়ে’, ‘শামুক শামুক খেলা’ এবং ‘রক্তের দলিল’।

প্রথম গল্প ‘মাগন কামলা’ থেকে মান্দিদের ফসল রোপনের আনন্দ গীত বা মান্দি ভাষায় রেরে কিংবা আজিয়া  শুনা যাক-

ও ও ও ধান কাটতে গেসিলাম / কাচি আমার ধরে না    কাচি আমার ধরে না…  / বালা সেরা দেকিয়া       মনডা আমার মানে না / মনডা আমার মানে না   হা রে রে. হা রে রে… / হা রে রে. হা রে রে… (মাগন কামলা, পৃষ্ঠা: ৯)

এই গানের সুর শহুরে পাঠকদের জানা নাই। জানা নাই এই গানের হৃদয়ের শাসন। ‘মাগন কামলা’র সেই সবুজ গ্রাম আর নাই। কষ্ট-যাতনার ভেতর টিকে আছে মান্দি জীবনের স্পন্দন।  সেই জীবন প্রকৃতি ও মানুষের যুথবদ্ধতার। মান্দিদের রোজনামচা লিখেছেন মিঠুন এই গল্পে। সেই রোজনামচা এই গানকে আমাদের সামনে ব্যাখ্যা করে। এই গান জীবন থেকে দূরে নয়। শ্রম আর ঘামে লেখা আনন্দলিপি। মিঠুনের শব্দ নির্বাচন ও প্রয়োগে অচিন পাঠকও যেন মান্দি চৈতন্যের সামনে দাড় করিয়ে দেয়। এইভাবে একের পর এক গল্পে আসে ফসল বপনের কথা, কৃত্রিম বনায়নের অভিশাপ, ইকো পার্ক বাণিজ্য, ধর্ষিতা মান্দি নারীর মর্মবেদনা, স্বপ্ন, খাদ্যাভ্যাস, মিথ-কল্পনা, মুসলমান হিন্দু অথবা ধর্মান্তরিত খৃষ্টান মান্দির সাথে পাড়া প্রতিবেশীর সম্পর্ক, বসতচ্যুত শহুরে মান্দিদের ক্লান্তি ও স্মৃতিকাতরতা। একেকটি গল্প মান্দি জীবনের একেকটি পর্ব উম্মোচন করে। মোটা দাগে মিঠুনের বর্ণনায় প্রাণ প্রকৃতি মানুষ ধর্ম রাজনীতি কোন কিছুই বাদ পড়ে নাই। মানতে হয় তিনি সচেতন কথাশিল্পী।

‘শিকড়ে খরা’ নামের গল্পের কয়েকটা লাইন-

যে পাহাড়ে বেড়ে উঠেছে সরেন, যে জঙ্গলে গরু চরিয়ে গান গেয়েছে বাশি বাজিয়েছে নরেন, আজম্ম যে পাহাড়, যে জঙ্গলের সাথে তাদের নিবিড় সম্পর্ক সেই জঙ্গলে-পাহাড়ে কি নরেন সরেন আলু তুলতে পারবে না? ঘুরে বেড়াতে পারবে না? নাকি তাদেরকে দূরে ঠেলে দেবে? ভুলে যাবে? নাকি কতিপয় বনদস্যুদের কাছে লুটেরাদের কাছে হার মানবে নারেন সরেন? (শিকড়ে খরা, পৃষ্ঠা: ১৬)

বর্ণনার সাবলীলতা সহজেই বিষয়ের গভীরে টানে। বিষয়ের বৈচিত্র্যতা আর আঙ্গিক মিলেমিশে তৈরী করেছে টুকরো টুকরো অথচ নিপুন জীবন চিত্র। জঙ্গলে বুনো আলু খুজতে যাওয়া দুই ভাই কিছুই পায় না। জঙ্গল তো নেই। এখন বন নয়, বনায়ন। লাগানো হয়েছে সাহেবী গাছ। যেখানে আলুর শিকড় তো দূরের কথা পাখিও বসে না। বৈচিত্র্য উধাও হয়ে গেছে। এই যেন প্রগতির সমচেতনার বনজ উৎপাদন। নিস্ফল সেই বৃক্ষ কোন স্বপ্ন জাগায় না। সেই নিষ্ঠুর জঙ্গলে বসে তারা দুই ভাই দূর অতীত আর স্বপ্নকাতর ভবিষ্যতের কথা বলে। বলে মান্দিদের নিয়ে উন্নয়নসহ নানা ব্যবসার কথা। তারা সেই সব খেতাদুরস্ত মিছিল মিটিং-র বাণিজ্য বুঝে গেছে। বুঝে গেছে এতে তাদের কোন লাভ নাই। টাকা না দিলে সামনে তারা কাউকে ফটো তুলতে দিবে না। কি সাবলীলভাবেই না তারা শহুরে মানুষের গারো বা আদিবাসী বাণিজ্যের সমালোচনা করছে। একই সাথে মিঠুনের দিক থেকে মান্দি জীবনের পর্যালোচনাও হাজির বটে।

মিঠুনের লেখাগুলো বর্ণনার ভেতর একনিষ্ঠতা আছে। তিনি বর্ণনার কোথাও কোথাও প্রশ্ন তুলে হাটেন। বস্তুনিষ্ট বর্ণনার বর্ণিল রেখা ধরে আমরা এগিয়ে যায় মিঠুনের সাফ করা পথে। আবার থেকে থেকে মিঠুন নিজেই গল্পের বিবেক হয়ে উঠেন। তার ক্ষোভ ঝরে পড়ে চলার পথে। যেমন ‘শিকড়ে খরা’ গল্পে মিঠুন নরেন আর সরেনের দৈনন্দিন খাদ্য সন্ধান থেকে একাশিয়া আর ইউক্যালিস্টাসের সামান্য বর্ণনা দেন। অন্যদিকে, ‘চকমেলা’ গল্পে মিঠুনের কোন রা নেই। মান্দি নারী গির্জার সেবক দ্বারা গর্ভবতী হয়ে উঠলে মান্দি গ্রামে কি ঝড় উঠে সেটা মিঠুন বর্ণনা করেন। টুকরো টুকরো কথামালা হয়ে মূল গল্পে তিনি ফিরেন। তাকে উড়ে এসে জুড়ে বসতে হয় না। পরিপার্শ্বিক বর্ণনা আর মান্দি যুবক রবিনের অভিব্যক্তিই গুরুত্বপূর্ণ। কথাহীন কথকের ভূমিকায় আলাদা মজা আছে। মনে হয় মান্দি জীবন মিঠুনের উপর ভর করে কথা বলিয়ে দিচ্ছে।এটা নিশ্চয় অচেতন নয়- সচেতন প্রজ্ঞা।

এই বইয়ের শক্তিশালী একটি গল্প হলো ‘এক যুবতীর স্বপ্ন’। এই গল্পে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে অজ্ঞান মুসলমান মাতাল।তার উত্থিত শিশ্ন দেখে এক মান্দি তরুণী যেন পথে আটকে পড়ে। গল্প শেষে তরুণীর সেকি কান্না। নানা ঘটনা আর বাস্তবতা তাকে এই শিশ্নের দিকে টেনে ধরে। একে একে ইতিহাস ফুড়ে বেরিয়ে আসে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে যাওয়া অপমানিত সমাজচ্যুত নারীরা। এই যেন নারীর পুরুষ অধীনস্ততার আদিম রূপ। সে পুরুষতান্ত্রিকতার বাইরে নয় কেউ। পুরুষ অজ্ঞান-অচেতন হলেও সে রাজা হয়ে দাড়িয়ে থাকে । ‘শামুক শামুক খেলা’য় দেখা যায় আরেক মান্দি শামুক খুড়াতে গিয়ে কিভাবে মুসলমান যুবক দ্বারা ধর্ষিত হয়।

‘চিংগিরি’ গল্পের মান্দি মেয়েটি  পার্লারে কাজ করে। ‘কারবার’ গল্পের কারবারি শহরে এসে তার ঐতিহ্যিক মদের কারবারি নিয়ে ঝামেলায় পড়ে । অথবা ‘রক্তের দলিল’-এ আছে সব হারানো মান্দি যুবকের চিরকুট। এখানে দেখা মেলে মান্দিরা কিভাবে বাস্তুচ্যুত হয়।কিভাবে বদলে যায় তাদের জীবনবোধ,সংস্কৃতি চেতনা,খয়ে যায় নীতি-নৈতিকতা। এই ‘শিকড়ে খরা’ নামটি শুধুমাত্র বুনো আলুর শিকড় নয়, বরং মান্দি জীবনের শিকড়কেও নির্দেশ করে। কিন্তু সেই শিকড়ের দেখা এই বইয়ে বেশিদূর মেলে না। মান্দি নিত্যজীবনের বাইরে ঐতিহাসিকতা আছে, যে ঐতিহাসিকতার উপরেই মান্দি সত্ত্বার রূপ টিকে আছে তার হদিস মিঠুন সামান্যই খোলাসা করেছেন।

মিঠুন আমাদের দেখান বিশেষ কি করে সমগ্রের সাথে আষ্ঠে পৃষ্ঠে জুড়ে থাকে। সেই সমগ্র গদ্য শিল্পের পুরানো প্রশ্নকে হাজির করে। জীবনের আর্তি আমাদের সামনে যেভাবে হাজির হলো। সেখানে শিল্প সত্যবস্তু না আলাদা কিছু। এটা নিয়ে বেশ বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু শিল্পের সত্যরূপ একটা আছে বটে। সাধারণভাবে সেই রূপটা তো রূপ-অরূপের এই দুনিয়া থেকেই ধার নেয়া। মিঠুনের এই শিল্প আমাদের দৈনন্দিনতার আড়াল থেকে মুক্তি দেয়। সত্য ও শিল্পবস্তু এক হয়ে উঠে। এই যেন মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ। কিন্তু শিল্প আর কি কি করে? এটা কিছুটা দায়ের কথা বটে আবার নাও। মিঠুনের মান্দি জীবনের বয়ান মান্দিদের কোন পথে নিয়ে হাটায়? তিনি যে পথে হাটেন সেই পথ কি বাণিজ্যওয়ালাদের কিছুটা পথ উস্কে দেয় না!(এর যথেষ্ট সমালোচনা থাকলেও) মান্দি জীবনের স্বপ্ন কই এই গল্পগুলোতে। শিল্প কি জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায় না! তার সবই কি নেতি অথবা মান্দি জীবনের সব কিছুই কি নেতি। সেখানে শিল্প কিছুটা বেসুরো হয়ে বাজে।

সে বেসুরো বাজনা আমাদের নিজের মতো করে নতুন পথের স্বপ্ন দেখায়। নাগরিক ছাপাখানায় মিঠুন মান্দি জীবনের বেদনার ছবি আকছেঁন। তার হৃদয়ের খবর হয়তো আমরা রাখি না। তবে এই গল্পগুলো বলে সে জীবনে আছে মান্দি জীবনের প্রাকৃতিক স্ফুলিঙ্গ। এই নাগরিক পরিসরে ইতিহাসের বাঁক কি সমাধান প্রত্যাশা করে সেটা বুঝা দুরুহ। কেন না, মান্দিরা নিশ্চয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হতে চাইবে না। কেউ চাইবে না। আজকালকের দুনিয়ায় সব সমাজেই মোটামুটি এই ধারণা চাউর- সমাজের মধ্যে নানা অনাচার ঢুকে গেছে। সেটা খাটি বাঙ্গালীয়ানা নামে যা চালানো হয়, সেখানে সত্য। অথবা এই প্রশ্ন উঠবে পারে- জাতিত্ব খাটিত্ব বা জাত্যভিমান আসলে কি জিনিস। এর একাট্টা কোন ঠিকানা বা সংজ্ঞা আছে কিনা। সেই মতে, ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি নানা আগ্রাসনের শিকার। যেটাকে অনেকে মূলধারা বলেন, সেটা হতে পারে আবার নিবিড় মান্দি পল্লীও হতে পারে। সেই আফসোসগুলো শেষ পর্যন্ত একই গন্তব্যে মিলে কিনা সেটা প্রশ্ন। কেউ চাইতে পারেন ইতিহাসের রূপান্তর। কিন্তু আলাদা করে আমরা নিজেদের পথকে এক বিন্দুতে মিলায় কি করে। এককেন্দ্রিক স্মৃতিচারণ নয় বরং চিন্তার যুথবদ্ধতার দরকার। হয়তো কোন উত্তরণ থাকতে পারে। এটা খোজা না খোজার ব্যর্থতা বা সফলতার দায় আমরা কোনভাবেই মিঠুনের কাধে চাপাতে পারি না। তিনি তার জ্ঞাতি গোষ্ঠীর দেনা মিটিয়েছেন।

সারি তুই শুনলে রাগে ফায়ার হয়ে যাবি,তবু বলি আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বিমানের ঘাঁটি বানালো। কী শব্দ! কানের পর্দা ফেটে যায়। সেই শব্দে কত পশুপাখি যে মরলো,  বন ছেড়ে পালালো তার হিসাব নাই। কত গারো ফ্যামিলিকে তাড়িয়ে বাড়ি থেকে, ভিটা থেকে আর আমাদের কয় কাঠচোর, বনদস্যু! সারি বিশ্বাস করবে না, আমার বুকটা বাগে রি র করছিলো, মনে হচ্ছিল হাতে পাইলে কাচাই খাইতাম চিবিয়ে। সালা তোদের বিচি কত্ত বড়রে, ধুন কত্ত লম্বারে, পারলে পিষে থ্যাঁতলে দিতাম! (রক্তের দলিল, পৃষ্টা: ৪৮)

মিঠুন সাহিত্যকে পরীক্ষার ক্ষেত্র না করে সহজ সরল বয়ানে জোর দিয়েছেন তিনি। যেসব পরীক্ষণ প্রায়শ ভুতুড়ে ঠেকে। মিঠুনের গল্পে ভুতুড়ে কোন বিষয় নাই। বাংলা গল্পের আকালে তার হ্রস্ব গল্পগুলো বেশ ভরসা দেয়। তিনি অনেক না বলা কথা পেড়েছেন। এই কথাগুলোর সুত্রে আরো অনেক কথা ধরা দেয়। মিঠুন  আরো অনেকের গোপন কান্নার অব্যক্ততার সুর তুলেছেন তার গদ্য শৈলীতে। সেই সব কথা শুনতে পাঠক কান পেতে আছে।

> রচনাকাল: জানুয়ারী ২০১২-র পয়লা হপ্তা।

> এই লেখাটি ফেব্রুয়ারী ২০১২-তে প্রকাশিতব্য কোন একটা ছোট কাগজের জন্য লিখেছিলাম। এর পরের খবর জানা নাই। লেখাটির শিরোনাম পরিবর্তিত।

Comments

comments

2 thoughts on “মান্দি আত্মার বিলাপ

    • ধন্যবাদ মুক্তা। নিশ্চয় ভালো আছেন।

      মিঠুনের ‘দলিলে ভাটপাড়া গ্রাম’ও পড়ে দেখতে পারেন। একটা মাত্র কবিতার মধ্যে দিয়ে মান্দি জীবনের সাবলীল বয়ান পাওয়া যায়।

      পড়তে ক্লিক করন:
      http://www.somewhereinblog.net/blog/gohon/29263875

Comments are closed.