শরতের অচল পাখি

শরৎ বিমর্ষ করে ঢের বিষম কান্নায় নিয়ে আসে পাখির শিস – ফুলের ঘ্রাণ হারিয়ে গেছে সমুদ্র মন্থনে।   শরৎ- দুই ঝুঁটির বিস্মৃত মেয়েটি ফিরে আসে নামহীন সম্বোধনে ডাকে। ভাষাহীনে অজাচারে অলীক মেঘ ঝিলিক দিয়ে লুকোয় আড়ালে আমি পাখিটির শিস বুনি আর ফুলের ঘ্রান।   খুঁজি  বিষম লোবান জ্বালাই পিদিম। জ্বালিয়ে সেই সুর অনির্বাণ তবুও সে…

পাতা উড়ানোর দিন

পাতা উড়ানোর দিন আর নাইরক্ত রঙের জবা মেয়েটিঘুমের ঘোরে কুড়িয়ে নিতামসেই ভালো ছিলো- আহা আমরা ক’জন। বুকে এখনো স্বপ্ন তাড়ানোতাবিজের দাগ লেগে আছেমেয়েটিকেও পুষে রেখেছি বুকেরযদি কখনো খুঁজে পাইমশারীর ফাঁকে হাতে গুজে দেবো সতীন তাবিজ। আতা গাছের ডালে আমরা ক’জননিষিদ্ধ কথা কিছু ছিলোকথার মতন পাতা উড়িয়েছি ঢেরকচি কড়ইটা হয়তো অভিশাপ দিয়েছেতবুও পরের শ্রাবণেউড়াবো বলে মেলেছেকচি…

পরানের পরান

কইছিলি পরানে বাঁধিব পরান!যা ঘুড়ি- তোর সাথে উড়াই পরানসুতো কার হাতে! ঘুড়ি, হায় মেঘ চিনিস না!মেঘের মরিচীকাপুড়িয়ে মারে আকূল পরানটারে।দূরে দূরে থাকিস তুইনাটাই-ঘুড়ির লুকোচুরি! কার কাছে বন্ধক রাখলাম পরান,বিরানে শুধায় নিমিত্তের বাড়ি।অভিমানে পরান জ্বলেআড় ভেঙ্গে কই দু’কথা- যদি তুই ফিরিস কারণ কলা ভেঙ্গেদুইয়ে মিলে তর্ক রাখব জারিকথা দিলাম পরানে বাঁধিব না পরানখুঁজিস না কোন নিমিত্ততোর…

চোখ

আর কিছুই নয় অধরা শব্দের বুনট মাত্র রাত্রিকে ঘুম পড়ায় গান শুনিয়ে দিবসে কথার ফুলঝুরিতে একাকার। ক্লান্তি চোখের সহোদরা- মধুর একাকীত্বে ভাই-বোন খেলছি এক্কা দোক্কা।

একশ কুড়িটি গাঁদা ফুল

নিরাভরণ রসুই ঘর থেকে কুড়িয়ে আনি একশ কুড়িটি গাঁদা ফুল। কার যে বউ- ফোলা ফোলা মুখ আদর করে কইতাম নতুন বউ আমারে বিয়ে কর নতুন বউ হাসত কিনা মনে নাই মনে পড়ে কাজল টানা দুটি চোখ মধ্যিখানে একটি গাঁদা ফুল। আতা গাছের উদর ফুঁড়ে ইশারায় মধ্যদুপুরে কাঁপে বড় আপার হলুদ ছায়া লোহা ছুইয়ে আম্মা তাড়িয়েছিলেন…

গাড়ীটি স্থির চেয়ে ছিলো আমার চোখে

গাড়ীটি স্থির চেয়ে ছিলো আমার চোখে রুমাল দিয়ে তার চোখ দুটি মুছে দিই রুমালে আকা ছিলো প্রজাপতির মুখ লাবণ্যহীন জোসনা-রোদের  সহবাসে কাকপোড়া নগরের অবোধ ইশারায় গাড়ীটি বেড়ে উঠে।