দুনিয়ার নানান কিসিমের মানুষ তারে নানান নামে ডাকে। মোক্ষ, মুক্তি, ফানা কতই না নাম। খুব সাধারণ অর্থে মুক্তি বলতে পারেন। কিন্তু মুক্তি শব্দটার দুনিয়াবী বৈশিষ্ট্যের কারণে পুরো বিষয়টা ধরা যায় না। বলা যেতে পারে, যে নামে বলি তার মঞ্জিলে যদি পৌছা যায়, সেটা হলো কথা। কিন্তু সেই মঞ্জিলের রূপ কেমন? যা লাভ করা হয় নাই, তার ধারণা কেমনে দিই। শাস্ত্র থেকে ধার নিতে পারি। শাস্ত্রে আছে,‘কোটি জন্ম ব্রক্ষজ্ঞানে মুক্তি পেলে না।সেই মুক্তি মেলে নাম নিলে’।
এই ঘোর কলিকালে নাম ছাড়া শুদ্ধ আর কি মিলে।সবকিছু ক্ষয় হতে হতে শুধু নামটুকু কোনভাবে ভুলভাল মিশিয়ে টিকে আছে। না, এমন কিছু আমি ভাবছিলাম না। বৈশাখের দুপুর, রৌদ্রের মধ্যে হেটে বেশ তিয়াশ পেয়েছে। এইসব ভাবনার সুযোগ কই। আশে পাশের পানির খোজে তাকাচ্ছি। বদাভ্যাসে বললাম, ভাইয়া মিনারেল ওয়াটার হবে। দোকানী বলল, না।
দূরে কোথাও গান বাজছে। সুরটা অতিচেনা। চিত্রা সিংয়ের ‘দুটি মন আর নেই দুজনার’। খর রৌদ্রের মাঝে কে আবার আত্মা হারা হলেন। না, গানটা তাই বলছে না। বাজনাটা সহসা বদলে গেল। কি যেন বিরহি টান। আহা। কৌতুহল জাগল। রাস্তা পার হতে হতে ভাবছিলাম, দেখি কোথায় গান হচ্ছে। বাজনা এক, সুর আরেক। এমন সময় একটা টেম্পু জাতীয় গাড়ী পাশ ঘেসে দাড়ালো। অনেকগুলো মানুষ নামলেন। বেশির ভাগ বয়স্ক। মহিলার সংখ্যা বেশি। সাদা কাপড় আর কপালে সাদা দাগ। দুইজন তরুণীকে দেখলাম। এ কিসের মচ্ছব। তীর্থযাত্রা বুঝি। এইখানে তীর্থ আছে, জানা ছিল না।
নতুন শাহাজীর বাজারের এক গলি পথ ধরে হাটছি। তীর্থযাত্রীদের পিছ পিছু। চোখমুখে কৌতুহল আনার চেষ্টা। যারা শহরে থাকেন, গ্রামের রাস্তা ধরে হাটতে গেলে তাদের চোখে মুখে ড্যামকেয়ার ভাব থাকে। এই রকম কিছু হয়ত। এরমধ্যে একজন বললেন, আপনার বাড়ি কই? ফিরে তাকাই। সাদা চুল-দাড়ি আর সাদা পাজামা পাঞ্জাবী পরা একজন মানুষ। সাথে ছয়-সাত বছরের একটা বাচ্চা। পরনে স্কুল ড্রেস আর কাধে ব্যাগ। কোথায় বাড়ি জানালাম। ‘ও, আপনি আমার শ্বশুরের দেশের মানুষ’। জানা গেল, সেটা আবার তার প্রথম বউয়ের বাপের বাড়ি। নাম মো. ইব্রাহিম। পেশায় গ্রাম চিকিৎসক।
‘কীর্তন দেখতে আসলেন বুঝি’? ও, এটা কীর্তনের সেই বিরহ টান। পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হলো। তিনি মনে হয় কথা বলতে পছন্দ করেন। বললেন, ‘আহা। আগে কি চমৎকার কীর্তন হতো। এখন আগের সেই টান আর মহব্বত টের পাওয়া যায় না’। তার সাথে প্রবেশ করলাম শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রমে। নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগে এই সেবাশ্রম।এই সেবাশ্রমে ২৪ প্রহর ব্যাপী অখন্ড মহানামযজ্ঞ মহোৎসব চলছে। উদ্দেশ্য বিশ্বশান্তি ও মানব কল্যাণ কামনা। এটা আশ্রমের ১০৮তম মহানামযজ্ঞ।বাংলা ১৪১৮ সনের পচিশ বৈশাখ থেকে উনত্রিশ বৈশাখ (খৃষ্টীয় নয় মে থেকে তের মে ২০১১,এই চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
মো. ইব্রাহিমের সাথে ভিড় ভাট্টা ঠেলে মূল প্যান্ডেলের ভেতরে গেলাম। বললেন, ‘দিনের বেলায় কীর্তন শুনে মজা নাই। রাতের বেলায় কীর্তনের মজা’। যদিও এই দুপুর বেলায় তিল ধরণের ঠাই নাই অবস্থা। তাহলে রাতের বেলায় বাড়তি লোক বসে কোথায়। প্রশ্ন করা হলো না। নাতি দাদার হাত ছেড়ে খেলনার দোকানের দিকে দৌড় দিল। বললেন, ‘রাতে থাকলে দেখা হবে’। আল্লাহ হাফেজ বলে প্যান্ডেলে ঢুকলাম।
নদীয়া অঞ্চলের শ্রী চৈতন্যের নাম আমাদের জানা আছে। লালনের বিখ্যাত গান আছে, ‘তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে..’। এই তিন পাগলের একজন শ্রী চৈতন্য দেব। সর্বসাধারণের মধ্যে কীর্তন দ্বারা ভক্তি প্রচার করা ছিল চৈতন্যদেবের লক্ষ্য।
শ্রী চৈতন্যদেবের আগে শ্রী জয়দেব,বড়ু চন্ডীদাস,বিদ্যাপতির পদাবলীতে কীর্তনের দেখে মেলে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্যের আঙ্গিকও কীর্তনের ঢঙে। মঙ্গলকাব্য যেমন-চন্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল,মনসামঙ্গল,শীতলামঙ্গল কীর্তনের রস পরিবেশন হতো, এখনো হয়ে থাকে। একইভাবে বৌদ্ধগানও কীর্তনের আঙ্গিকে পরিবেশিত হয়।
গেরুয়া রঙের প্যান্ডেল। নিচে চাটাই বিছানো। চারপাশে বাশ দিয়ে ঘেরা। ছোট্ট একটা মন্দিরের সামনে ষড়ভুজ বা প্রায় গোলাকার মঞ্চ। উপরে লেখা কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। মন্দিরে একটা বিগ্রহ দেখা যাচ্ছে। একজন গায়েনকে ঘিরে ঢোল, হারমোনিয়াম, করতল, বাশি বাজাচ্ছে যন্ত্রীরা। তাদের বেশভূষাও গেরুয়া।গায়েনের সাথে কখনো কখনো গলা মিলাচ্ছেন সঙ্গীরা। কখনো দু’হাত উপরে তুলে আকুতি জানাচ্ছেন।আবার,বেদনাকিষ্ট মুখে হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ছেন,মাটিতে শুয়ে পড়ছেন।এই গায়কদের একজন বলেন,এটা তাদের আত্ম নিবেদন।কিন্তু তারা কীর্তন নিয়ে বেশি কথা বলতে নারাজ। যারে শুধু নামে মেলে তার আবার ব্যাখ্যা কি।
শ্রোতাদের অধিকাংশ নারী।তারা যেন আত্মহারা।একজন বলছিলেন,তিনি যেন নিজের না বলা কথা শুনতে পান।আত্মা ঠান্ডা হয়।কীর্তনের করুণ সুরে কি যেন দুঃখ লেখা আছে,পাওয়া-না পাওয়ার দুনিয়াবী দুঃখ না,তারও উধ্বে আরো কি যেন রয়ে যায়।ধরা যায় আবার ধরা যায় না।
কীর্তনকে আমরা গান বলছি, কিন্তু ধর্মীয়ভাবে একে ‘নামসুধা’ বলা হয়।‘শ্রী শ্রী নামসুধা’।কয়েকজন মিলে যে দল,তাকে বলা হয় সম্প্রদায়।এটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে কোন মন্দিরকে ঘিরে তৈয়ার হয়।সম্প্রদায়ের দীক্ষা গুরু থাকেন একজন।।এই সেবাশ্রমে নামসুধা বিতরণে এসেছেন ছয়টি সম্প্রদায়।নোয়াখালীর শ্রী বলদেব সম্প্রদায়,ভোলার শ্রীগুরু চৈতন্য সম্প্রদায়, শ্রী অদ্বৈত সম্প্রদায় ও শ্রী বৈষ্ণব নারায়ণ দে,বরিশালের শ্রী গৌরহরি সম্প্রদায় এবং পটুয়াখালীর শ্রী কানু গোপাল সম্প্রদায়।
কীর্তন হলো কোন দেব-দেবীর নাম বা গুণাবলী বা কীর্তিকাহিনী নিয়ে রচিত। একে সঙ্কীর্তন বা কেত্তন নামেও ডাকা হয়।শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পান্ডব ভাইদের পক্ষ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এমনই একজন সনাতনী আবতার যিনি তার সমস্ত লীলায় যুদ্ধের চেয়ে প্রেমকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তার প্রেমময় চরিত্র নিয়ে রচিত হয়েছে বাংলার কীর্তন। শ্রী চৈতন্য মনে করেন ক্ষয়িষ্ণ হিন্দু ধর্মকে বাচাতে পারে প্রেমভাব। প্রেমে ভক্তি প্রেমেই মুক্তি। এই পবিত্র গঙ্গার প্রবাহমান জলের মতো, ধুয়ে দিতে পারে মনের সকল কালিমা।
কীর্তন দু’প্রকার- নামকীর্তন বা নামসংকীর্তন এবং লীলাকীর্তন। হরি বা বিষ্ণুকে সম্বোধন করে ‘হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে’ এই ষোল পদ নিয়ে নামকীর্তন৷ এই বোল ছাড়াও অবশ্য নামকীর্তনের আরো বোল আছে। অন্যদিকে, রাধা কৃষ্ণ এবং গোপী নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী অবলম্বনে যে পালাগান তাকে বলে লীলা কীর্তন। এছাড়া গৌরাঙ্গ বা শ্রী চৈতন্যের কাহিনী নিয়ে লীলা কীর্তনের প্রচলন আছে। পশ্চিমবঙ্গে কালীকীর্তন নামে আরেক প্রকার কীর্তন আছে, এটা মূলত শাক্তপদাবলীর গীতরূপ।
২৪ প্রহর ব্যাপী অখন্ড মহানামযজ্ঞে কোন বিরতি নাই।প্রতি প্রহরে কোন না কোন সম্প্রদায় কীর্তন পরিবেশন করে যাচ্ছেন।সেই সময় নামযজ্ঞে ছিলেন বরিশালের শ্রী গৌরহরি সম্প্রদায়।তাদের গানের কথাগুলো স্পষ্ট বুঝা না গেলেও,কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে স্পষ্ট ধরতে পারছিলাম।
বেলা তিনটার মতো বাজে।মন্দিরের পাশের ছাউনী দেয়া অংশ আর গলিপথে লোকজন সারি করে বসে গেছেন।সবার সামনে এলুমিনিয়ামের বত্তন।খিচুড়ী আর সবজি।কয়েকজন এসে পাতে পাতে খাবার তুলে দিচ্ছিলেন।চারদিকে খাবারের গন্ধ ভাসছে।সবাই তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছেন নিরামিষ।একে খাবার বলা হয় না।বলা হয় অন্নপ্রসাদ।এর আলাদা গুন,ভক্তি ও গুরুত্ব আছে।এই অন্নপ্রসাদ খেলে পূণ্য হয়,এই বিশ্বাস অনেকের।আশে পাশের হিন্দু বাড়িতে এই চারদিন রান্না হয় না।এই কয়দিন সবাই সেবাশ্রমের সৌজন্যে অন্ন প্রসাদ গ্রহন করেন।মহিলারা বটিতে করে খাবার নিয়ে খাচ্ছেন।বাড়ির যেসব লোক আসতে পারেন নাই,তাদের জন্য এই ব্যবস্থা।সেবাশ্রমের সেবা থেকে কেউ বঞ্চিত নন।
মন্দিরের সামনে সেবাশ্রমের অফিস।অফিসে ছিলেন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব শ্রী মধুসূধন চৌধুরী।মহানামযজ্ঞ মহোৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন,’প্রায় ৫২৬ বছর আগে ব্যভিচার ও ধর্ম বিপ্লবে হিন্দু সমাজ যখন প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি,সেই সময় মহাবদান অবতার শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু এই পৃথিবীতে অবর্তীণ হয়ে শ্রীষোড়শ হরিনাম মহামন্ত্রে দীক্ষিত করে মহাপ্রেমের বন্যায় দেশে শান্তি আনেন’।
‘এই মহানামযজ্ঞের উপকার কি’?
‘বিশ্ব মানবতার শান্তি ও কল্যাণ কামনা’।
‘কিভাবে নামযজ্ঞের সময় নির্ধারণ হয়’?
‘এটা তারিখ বাংলা বা ইংরেজী তারিখ হিসেবে নির্ধারিত হয় না,নির্ভর করে সীতা নবমীর উপর।সীতা নবমী যেদিন হয়,তার পরদিন দশম দিন সকালে এই কীর্তন শেষ হয়।এইবারের সীতা নবমী পড়েছে বাংলা বৈশাখ মাসে।সব সময় এটা বৈশাখ মাসের একই তারিখে হয়,এমন না’।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, বৈশাখ মাসের শুক্লা নবমী তিথিটিকে সীতা নবমী বলা হয়। এ দিনেই সীতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রামায়ণ অনুসারে, সীতা ভূদেবী পৃথিবীর কন্যা ও রাজর্ষি জনকের পালিতা কন্যা। রামায়নে আরো আছে, রাজা জানক পুজা উপলক্ষ্যে জমি চাষ করার সময় লাঙলের আঘাতে ভূমি বিদীর্ণ করে সীতার জন্ম হয়। জনকের কন্যা বলে সীতাকে জানকীও বলা হয়।
মূল প্রাঙ্গনের বাইরে বারোয়ারী মেলা বসেছে।খেলনা প্রসাধনী তৈজসপত্র খাবারের পাশাপাশি আছে ধর্ম সম্পর্কিত নানা উপকরণ।এই মধ্যে বই পোষ্টার ধুপদানী গৃহদেবতার আসনসহ নানা কিছু।পঞ্জিকা ছাড়া আছে গীতা,রামায়নের ছোট বড় সংস্করণ।এছাড়া আছে পৌত্তলিকতা পক্ষে যুক্তি,বিভিন্ন ঠাকুরের জীবনী,হিন্দু ধর্মের বিশ্বজনীনতা নিয়ে বই।এছাড়া আছে সংকলিত গান ও উপন্যাস।কয়েকটি উপন্যাসের নাম হলো- কেঁদো না তুমি আর কবরের পাশে দাড়িয়ে,টাকার চেয়ে প্রেম বড়,প্রিয়া আমার প্রিয়া,তোমার আমার মরণ যেন একই দিনে হয়,পিরীতের আগুন জ্বলে দ্বিগুন,প্রিয়া এখন নেই আর আমার।বেশিরভাগ উপন্যাসের কাভারে নায়িকা পূর্ণিমা আর অপু বিশ্বাসের ছবি।
হঠাৎ এক লোক এসে বললেন,’ভাই এখানে ফটো তুলবেন না।যে ফটোগুলো তুলেছেন,সেগুলো মুছে ফেলেন’।
‘কেন ভাই কি সমস্যা’?
‘আপনি মেয়েদের ছবি তুলছেন,এটা ঠিক না’।
‘না,আমি তো মেয়েদের ছবি তুলতে আসি নাই,এখানে কীর্তন আর মেলা হচ্ছে। তার ছবি তুলতেছি. আপনার কোন সমস্যা’।
‘কীর্তন একটা পবিত্র ব্যাপার,তার ছবি তুলতেছেন’?
‘কমিটির লোকজনের সাথে আমি কথা বলেছি’।
‘আপনার পরিচয় কি’?
লোকজন জড়ো হয়ে গেল। নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে কীর্তনের ভাবটাই মন থেকে উধাও হয়ে গেল। ভাবলাম কেটে পড়া যাক।
কিছুদূর গিয়ে দেখি এক জায়গায় গৃহঠাকুরের আসন বিক্রি হচ্ছে।যেই না কয়েকটা ফটো নিলাম, দুই তিনজন তরুণ এসে ঘিরে ধরল।প্রশ্নের পর প্রশ্ন।গনেশ নামের একজন বলল,‘আপনি মুসলমানের ছেলে, লজ্জা লাগে না কীর্তনের ফটো তুলতে’। নানা তর্ক-বিতর্কের পর অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনার বাড়ির পাশে একশ আট বছর ধরে কীর্তন হচ্ছে,এই নিয়ে আপনার অনুভূতি কি’? ‘আমি আছি বেকার সমস্যায়,এইসব কীর্তন ধর্মকর্ম নিয়ে আমি মাথায় ঘামাই না’।ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় নাই, নাকি ধর্ম তাকে ভাবাইতে পারে নাই।কে কাকে ডাকে, কেমনে ডাকে সেটা রহস্য বটে। অথচ যে ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় তার নাই,সেই ধর্মের কারণে সে বলল,‘মুসলমানের ছেলে, লজ্জা লাগে না’। এটা সামান্য উদাহরণ মাত্র, বিচলিত হবার কি আছে।এই সমাজ-সংসারে মানুষ কত অভিযোগে কত রকম আচরণ করে। আর চোখের সামনেই তো আছেন মধুসূদন চৌধুরী আর মো:ইব্রাহিম।
(লেখাটি রাজনৈতিক.কম-এ প্রকাশিত। )