পরানের পরান

কইছিলি পরানে বাঁধিব পরান!যা ঘুড়ি- তোর সাথে উড়াই পরানসুতো কার হাতে! ঘুড়ি, হায় মেঘ চিনিস না!মেঘের মরিচীকাপুড়িয়ে মারে আকূল পরানটারে।দূরে দূরে থাকিস তুইনাটাই-ঘুড়ির লুকোচুরি! কার কাছে বন্ধক রাখলাম পরান,বিরানে শুধায় নিমিত্তের বাড়ি।অভিমানে পরান জ্বলেআড় ভেঙ্গে কই দু’কথা- যদি তুই ফিরিস কারণ কলা ভেঙ্গেদুইয়ে মিলে তর্ক রাখব জারিকথা দিলাম পরানে বাঁধিব না পরানখুঁজিস না কোন নিমিত্ততোর…

চোখ

আর কিছুই নয় অধরা শব্দের বুনট মাত্র রাত্রিকে ঘুম পড়ায় গান শুনিয়ে দিবসে কথার ফুলঝুরিতে একাকার। ক্লান্তি চোখের সহোদরা- মধুর একাকীত্বে ভাই-বোন খেলছি এক্কা দোক্কা।

একশ কুড়িটি গাঁদা ফুল

নিরাভরণ রসুই ঘর থেকে কুড়িয়ে আনি একশ কুড়িটি গাঁদা ফুল। কার যে বউ- ফোলা ফোলা মুখ আদর করে কইতাম নতুন বউ আমারে বিয়ে কর নতুন বউ হাসত কিনা মনে নাই মনে পড়ে কাজল টানা দুটি চোখ মধ্যিখানে একটি গাঁদা ফুল। আতা গাছের উদর ফুঁড়ে ইশারায় মধ্যদুপুরে কাঁপে বড় আপার হলুদ ছায়া লোহা ছুইয়ে আম্মা তাড়িয়েছিলেন…

গাড়ীটি স্থির চেয়ে ছিলো আমার চোখে

গাড়ীটি স্থির চেয়ে ছিলো আমার চোখে রুমাল দিয়ে তার চোখ দুটি মুছে দিই রুমালে আকা ছিলো প্রজাপতির মুখ লাবণ্যহীন জোসনা-রোদের  সহবাসে কাকপোড়া নগরের অবোধ ইশারায় গাড়ীটি বেড়ে উঠে।

ফিসফাস

হাতের রেখায় অনুজ্জ্বল হলো বাদামী পৃষ্টার ছোপ ছোপ ছাপ আমরা সে ফিসফিসানী এড়িয়ে মগ্ন পাখির খোঁজে পাহাড়ের নির্জনতায় হাঁটছিলাম।