যেতে যেতে অচিন নদীতে
আরও দূরে ভেসে যাই
যতটা গেলে দৃষ্টির আড়ালে শরীর
থাকে না সময়ের ফাঁদে
উড়ে যায় মেঘের সাথে অথবা
তোমাকে নিয়ে একটা সংগীত
গাইতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেয়ে বলি
তুমি কেন আমারে লও না
তোমার আরশে।
জানি এভাবে মঞ্জিল মিলে না
তবুও ভাবনার
খোসা ছড়িয়ে আমি কি ডাকি না তোমায়
হয়ত নামে নাম মিলে না।
তবুও দেখ
এ যে অচিন নদী
মেঘের উপমা
কত কত অলস ও মগ্ন মুহূর্তে
আমাকে বিহ্বল করে
বিহ্বল করে নিয়ে যায়
না ধরা না দেখা
প্রাচীন ভূমিতে। আমি জানি
প্রাচীনতা অমূর্ত নাম মাত্র
যার ভাবের ভেতর হারিয়ে যায়
ভবিষ্যতের সকল মুহূর্ত
অতীত তার দীর্ঘশ্বাস।
আমার এ নদী, মেঘের উপমা
হারিয়ে যায় ফুৎকারে
ইসরাফিলহীন শিঙ্গার ধ্বনিতে
আমার কান বধির না হয়ে
দিগন্ত খুলতে খুলতে তোমার জন্য
কত গান কত সুর ছড়িয়ে পড়ে
তবুও কি তোমায় ডাকি না
কোনো কোনো মুহূর্তে
আমার হৃদয়ে প্রতিটি তন্ত্রী
কার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে
কোন বাগানের ফুলের সুবাস
নদী, মেঘ আর রংধনু হয়ে
অচিন করে তোলে
আমার অব্যক্ত সংগীত
আমারই কানে ফিরে ফিরে আসে।
অনুমুহূর্তে
হয়ত মরি আর বাঁচি
অথবা জীবন-মৃত্যু মিথ্যে হতে হতে
আমায় ডেকে নেয় গহীনে।
আমার নদী আর মেঘ
ধুসরতা হারিয়ে ক্রমশ রঙিন হয়ে উঠে।