‘পিকে’ : যুক্তি-বুদ্ধির কাঁঠালসত্ত্ব

‘পিকে’ সিনেমার শেষদিকের একটা দৃশ্য দিয়ে শুরু করি। প্রধান নারী চরিত্র জগত জননী বা জগ্গুর (আনুশকা শর্মা) মুখে শোনা যায়, “ভিনগ্রহের মানুষ সাদৃশ্য প্রাণী ‘পিকে’ (আমির খান) পৃথিবী থেকে দুটি জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। তার (নারী) প্রতি ভালোবাসা ও মিথ্যা বলা।” ধর্মতাত্ত্বিক বয়ানে আমরা শুনেছি মিথ্যা সকল পাপের জননী। নারী ও মিথ্যাকে এক করে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি…

চৈত্র সংক্রান্তিতে দাঁড়িয়ে

সময়ের ধারণা বাংলা বছরের হিসাব চলে সূর্যের সাথে সাথে। আবার নানা কারণে আমবস্যা-পূর্ণিমা কেন্দ্রিক চাদেঁর হিসেবও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলা সন মূলত সৌরবছর। এতে বাইনারিভাবে দেখার বিষয়টি অগ্রাহ্য করা হয়। এখানে সময়ের শেষ বা শুরু বলে কিছু নেই। বারো মাসের বছরের শেষ মাস চৈত্রে’ও বছরের ‘শেষ’ হয় না। চৈত্রে ‘সংক্রান্তি’ হয় আগামী বছরের সাথে। এ হলো…

নোয়া: ইচ্ছার স্বাধীনতা নাকি স্বেচ্ছাচার?

ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি পরিচালিত ও রাসেল ক্রো অভিনীত ‘নোয়া’ এ বছরের আলোচিত মুভিগুলোর একটি। মূলত নবী নূহ (আ.)-এর কাহিনী নিয়ে নির্মিত হওয়ায় প্রথম থেকেই এ মুভি আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। মুসলিম প্রধান বেশ কটি দেশে নিষিদ্ধও হয়েছে। কিন্তু মুক্তির পর দর্শক পছন্দের দিক থেকে পিছিয়ে থাকে। সেটা নির্মাণের প্রসঙ্গ, এখানকার আলোচনা তা নয়। সম্প্রতি মুভিখান দেখা হলো।…

আমার মনের বাড়ি আমার না

এক. জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় শনিবারে আমাদের অফিসে কোয়ান্টাম মেথডকৃত ধ্যানের ৩০ মিনিটের একটা সেশন হলো। প্রথমদিকে একটা বিষয় ছিল চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে জোরে শ্বাস নেওয়া, মুখ দিয়ে ছাড়া। শরীর থেকে দুষিত কিছু বের করে দেওয়ার একটা ব্যাপার আরকি! প্রথম ধাপেই আমি ফেল্টুস। জোরে শ্বাস নেওয়া ও ফেলাকে খুবই ব্যক্তিগত জিনিস মনে হইতেছিল। আরও…

তারেক মাসুদ কার কাছে ফিরবেন

তারেক মাসুদ কার কাছে ফিরবেন? তারেক মাসুদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে এসে এ প্রশ্ন আচানক কোনো বিষয় নয়। এ প্রশ্ন তার জীবিতকালেও জারি ছিল। এখনও জারি আছে। যেহেতু তারেকের ভাব-ভাষা ও আকাঙ্খা সমাজে অচল হয়ে যায় নাই। অবশ্য অচল হওয়া দিয়া কোনো আলোচনার করব কি করব না- সেটা ঠিক করা কাজের বিষয় না। এ প্রশ্ন প্রসঙ্গে বলা…

ওয়ালীউল্লাহ পাঠ : নাই এবং আছে

এক. ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (আগস্ট ১৫, ১৯২২-অক্টোবর ১০, ১৯৭১) তৃতীয় ও শেষ উপন্যাস। বিখ্যাত লেখকের বিখ্যাত এই উপন্যাসের এমনই ধারা- উদ্বেগসঙ্কুল পাঠকদের খুবই উদ্বেগের মধ্যে রাখে। অথবা পাঠকদের আপন আপন জীবন আর তার অনিশ্চিত বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বেগসঙ্কুল করে তোলে। তাই, ক্ষীণকায় এই উপন্যাস পড়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। নিত্য আহজারিতে দেহ-মন…