Martin Heidegger: হাইডেগার ১৮৮৬ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ জার্মানীর এক ক্যাথলিক পরিবারের জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা গীর্জার বাদক দলে সেক্সটন বাজাতেন। ছোটবেলায় তিনি যাজক হবার প্রস্ততি নিয়েছিলেন। সতের বছর বয়সে হাইস্কুলে পড়াকালে ফ্রান্ক ব্রানটানোর ‘অন দ্যা মেনিফোল্ড মিনিং অব বিয়িং অ্যাকোর্ডিং টু এরিস্টিটল’ পড়ে দর্শনের প্রতি তার আগ্রহ তৈয়ার হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে, এই বই তাকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করে। পরে তিনি ফয়েরবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ধর্মতত্ত্বে ভর্তি হন। আরো পরে যাজকগিরির চিন্তা বাদ দিয়ে তিনি দর্শন, গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়েন। এইসবের পেছনে তার দুর্বল স্বাস্থ্যের প্রভাব আছে। এই সময় এডমন্ড হুর্সাল তাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। তিনি হুর্সালের ‘লজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন’ পড়েন। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার আগ্রহ জন্মে। সে বাসনায় একটা থিসিস করেন। থিসিসের শিরোনাম, ‘ডানস স্কটাস ডকট্রিন অব ক্যাটাগরিজ এন্ড মিনিং’। ১৯১৫ সালে থিসিস শেষ করে লেকচারার পদে যোগদান করেন। এরপরও তার নানা ইতিহাস আছে। জর্মনবাসী এই দার্শনিক অস্তিত্ববাদ এবং অবভাসবিদ্যায় তার বিয়িং এর প্রশ্ন তুলে খ্যাতিমান ও অনুস্মরণীয় হয়েছেন। দার্শনিক নৃতত্ত্ব, সাহিত্য, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজিন্সে তার ভূমিকা আছে। তার উল্লেখযোগ্য বই হলো ‘বিয়িং এন্ড টাইম’, ‘কান্ট এন্ড প্রোব্লেম অব মেটাফিজিকস’, ‘এন ইন্টোডাকশান টু মেটাফিজিকস’, ‘দ্যা কোশ্চেন কনসার্নিং টেকনোলজি’ প্রভৃতি। এর মধ্যে ১৯২৭ সালে প্রকাশিত ‘বিয়িং এন্ড টাইম’ তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি ১৯৭৬ সালের ২৬ মে মৃত্যু বরণ করেন।