দূরের কোনো মাঠে

দূরের কোনো মাঠে হেমন্তের ছবি এঁকে যদি ঝুলিয়ে রাখা যেতো বাড়ত আমার শোক হতাশায় কোনো একদিন কাঁদতাম দেখতাম মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে মিলিয়ে যাচ্ছে পেলব আত্মারা। ফুরিয়ে যাওয়া হেমন্ত আমাদের নিয়ে যায় চিরদিনের মতো। একবার গেলে শুধু ভালোবাসা যায় স্মৃতি তারে মিথ্যে করে দেয়।

ছায়ায় জেগে আছে সে

ছায়ায় সে জেগে আছে ভোরে হাওয়ায় উড়ে যায় কেউ শির শির শব্দে ভর করে রাতের সুবাস। নিভে যাওয়া সলতেটুকু অনুমান করে জেগে থাকার অহঙ্কার মৃত পাখি হয়ে উড়ছে তার।

বিদ্যুৎ চমকায় শাহবাগে

শাহবাগে গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ তখন আরো গভীর হয় রাত বিদ্যুৎ চমকায় শাহবাগে বৃষ্টি আসবে ক্ষেতে তখন গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ নীহারিকা বাড়ি ফেরে বৃষ্টির ভয়ে।

অব্যক্ত সংগীত

যেতে যেতে অচিন নদীতে আরও দূরে ভেসে যাই যতটা গেলে দৃষ্টির আড়ালে শরীর থাকে না সময়ের ফাঁদে উড়ে যায় মেঘের সাথে অথবা তোমাকে নিয়ে একটা সংগীত গাইতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেয়ে বলি তুমি কেন আমারে লও না তোমার আরশে। জানি এভাবে মঞ্জিল মিলে না তবুও ভাবনার খোসা ছড়িয়ে আমি কি ডাকি না তোমায় হয়ত নামে…

কার নামে পাথরটা সরিয়ে রেখেছি

এক. সেদিনকার কথা, কে যেন জিগেশ করে এই ছেলে, টুকটুকে ছেলে তোমার নাম কী তখনও আমি নাম বুঝতে শিখিনি অর্থ বুঝতে শিখিনি এখন চাইলে ভাবতে পারি নাম আর অর্থ দুটি আলাদা বিষয় এক করে বুঝতে গেলে নাম বুঝা লাগে অর্থ বুঝা লাগে দুটো বুঝে গেলে কি কি বুঝাবুঝি হয় অথবা বুঝাবুঝির অর্থ কী তা নিয়ে…

সরোবর

সরোবর- এই প্রাচীন নামের আড়ালে আমরা হেটেছি মৃদৃ মন্দ হাওয়ায়। পাখির শিস পাতার কোরাসে আমরা ভেবেছি হারানো শহরের অধিবাসী যেন- ভাঁজ খোলা পুরানো জামায় তুমি এনেছো স্মৃতির নির্বাণ। সরোবর- এই প্রাচীন নামের আড়ালে মৃদৃমন্দ হাওয়ায় মাছেদের সাথে আমাদের ভাগ্যরেখা খুঁজেছে অমৃত শব্দগুচ্ছ। শব্দগুচ্ছ প্রাচীন শহরের সীমানা ছাড়িয়ে গ্রাম্যতায়- জলপাই বনের হাওয়া ঢেকে দেয় সমূহ লজ্জা…