নামে কি আসে!

এক. মতিন উদ্দিন বাবার কবরে সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। পাখিটি ছিলো তার পেছনে, ছোট্ট কাঠাল গাছটির ডালে। যে গাছটি লাগিয়েছিলেন মোমিন উদ্দিন নামে বাবার এক ভক্ত। তাও বিশ বছর আগে। মোমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘর কোথায় কেউ জানে না- যেমন জানে না বাবার চিন-পরিচয়। মোমিন উদ্দিন দিন-রাত বাবার কবরের পাশে শুয়ে জিকির করতেন। তার জিকিরের আওয়াজে সুর…

সেলিব্রেশন অব লাইফ- দুই

এক. হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের লিভিং লিজেন্ড’সহ খ্যাত-অখ্যাত নানান জনের লেখালেখি আমরা পড়েছি বা পড়ছি। এরা সবাই হুমায়ুনের সাহিত্যে প্রীত বোধ করেছেন এমন নয়। তবে লক্ষ্যনীয় হলো, লেখালেখির এই মচ্ছবের মধ্যে সুনাম বদনামের সুর একই জায়গা আটকা। যেমন- তিনি জনপ্রিয় বলে সস্তা আবার জনপ্রিয় বলেই কালজয়ী। এক যাত্রায় এমন দুই ফল…

পরানের পরান

কইছিলি পরানে বাঁধিব পরান!যা ঘুড়ি- তোর সাথে উড়াই পরানসুতো কার হাতে! ঘুড়ি, হায় মেঘ চিনিস না!মেঘের মরিচীকাপুড়িয়ে মারে আকূল পরানটারে।দূরে দূরে থাকিস তুইনাটাই-ঘুড়ির লুকোচুরি! কার কাছে বন্ধক রাখলাম পরান,বিরানে শুধায় নিমিত্তের বাড়ি।অভিমানে পরান জ্বলেআড় ভেঙ্গে কই দু’কথা- যদি তুই ফিরিস কারণ কলা ভেঙ্গেদুইয়ে মিলে তর্ক রাখব জারিকথা দিলাম পরানে বাঁধিব না পরানখুঁজিস না কোন নিমিত্ততোর…

স্নায়বিক চাপ

এক. বরাবরের মতো সেই রাতেও রশিদ সাহেব একা একা রাতের খাবারটি সেরে নিচ্ছিলেন। কোন কারণ ছাড়াই সেদিন অফিস থেকে বাসার দিকে না গিয়ে উল্টো পথ ধরলেন। একজন যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে অকারণকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়। তারপরও তিনি অকারণকে মেনে নিলেন। মিনাক্ষী সিনেমার উল্টো দিকে যে রেস্টুরেন্টটি আছে- বে ভিউ রেস্টুরেন্ট, সেখানেই খাচ্ছিলেন। আলো-আধারী পরিবেশ।  খাবারের…

মান্দি আত্মার বিলাপ

মান্দিগ্রাম। যাকে আমরা গারো পল্লী বলি। শহুরে শিকারী মানুষদের ফসিল শিকারের উৎকৃষ্ট স্থান। নিজেদের অস্বাভাবিকত্ব আর বিকৃতির বাইরে যা আছে তাকে আমরা নানা নামে ডাকি। কেউ কেউ বলেন- মান্দিরা এই প্রগতির সংসারে অগতির মধ্যে আছেন (সুবিধা বঞ্চিত)। তারা যেন দূরে কোথাও ছিটকে পড়েছে- তাদেরকে মানুষ করা দরকার। জীবনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য, প্রাকৃতিকতা ও বৈচিত্র্যকে সমচেতনার নামে…

চোখ

আর কিছুই নয় অধরা শব্দের বুনট মাত্র রাত্রিকে ঘুম পড়ায় গান শুনিয়ে দিবসে কথার ফুলঝুরিতে একাকার। ক্লান্তি চোখের সহোদরা- মধুর একাকীত্বে ভাই-বোন খেলছি এক্কা দোক্কা।