যেখানটায় রিকশা তরতর করে চলছে- এটাকে আমরা বলি চর। চরের লোকদের অনেকটা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করাও হয়। মজার বিষয় হলো আমি এখনো এমন কোন চরের লোক দেখি নাই- যারা নিজেদের চরের লোক বলে স্বীকার করে। তারা বলে চর তো আরো পশ্চিমে। চর আমার ভালো লাগে। যদিও এখন বেশ বাড়িঘর হয়ে গেছে। তবুও অনেকদূর বিস্তৃন প্রান্তরের মধ্য দিয়ে চোখ জুড়িয়ে যায়। দারুন হাওয়া। শরতে তো মনে হয় যেন উড়িয়ে নিয়ে যাবে। আর মেঘের খেলা দেখতে চান- চরের জুড়ি নাই। আমরা তেমন চরের পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এইটাই সম্ভবত বছর চল্লিশেক আগে নদী ছিল। বুড়োবুড়িরা বলেন দরিয়া। মাঝে মাঝে সেই দরিয়ার জন্য আমার মন কাঁদে। মন কার জন্য কাঁদে নারে পাগলা!