ইতিহাসের নানান মুহুর্ত এর মধ্য দিয়ে সাক্ষাত বা প্রতীকিভাবে হাজির হয়। সে হাজিরানায় কখনো কখনো মূল ঘটনা হারিয়ে গিয়ে নতুন রূপ, চিত্রভাষ্য ও ব্যাখ্যা এস্তেমাল করে। যেমন আনোয়ার হোসেন অভিনীত নবাব সিরাজউদ্দৌলা (খান আতা, ১৯৬৭) চলচ্চিত্রটি। এমনও মনে হয় নবাব সিরাজউদ্দৌলা নামটি উচ্চারণের সাথে সাথে হাজির হয় আনোয়ার হোসেনের চেহারা। এই প্রতিস্থাপন এমনি এমনি হয় নি, অনেক আশা-আকাঙ্খা আর ভালোবাসাকে ধারণ করেছে। ধারণ করেছে বাংলার মানুষ- যারা এই ট্রাজেডিকে আজীবন ধরে রেখেছে। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, নবার সিরাজউদ্দৌলা কি এমন থিয়েটারি ভঙ্গিতে আর বাংলায় কথা বলতেন। বলতেন না, অন্তত ইতিহাস তাই বলে। কিন্তু নি:সন্দেহে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব বললেই তার চেহারা আর সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘বাংলা বিহার উড়িষ্যা…’ আপনার স্মৃতিতে আসছে। অর্থ্যাৎ, এই চিত্রভাষ্য আমাদের আশা-আকাঙ্খার সাথে মিশে গেছে। এই ক্ষেত্রে আনোয়ার হোসেন এতটা স্বার্থক যে গত দশক পর্যন্ত যাত্রামঞ্চে তাকে প্রায় দেড় হাজার বার এই দৃশ্য পৃনরোৎপাদন করতে হয়েছে।