একুশ শতকের প্রথম দশক নিয়া ইতিমধ্যে কিছু সংকলন প্রকাশ হয়েছে। এরমধ্যে আঙ্গিক, বিন্যাসগত নানা ফারাক বর্তমান। এই সংকলনের বেশীরভাগ কবি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনের সাথে সাথে ব্লগ মাধ্যমে নিজেদের জানান দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে নিজেদের উপস্থিতি, সবলতা, শক্তিমত্তা প্রকাশে ব্লগ যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাড়াতাড়ি একজনকে অন্য জনের কাছে পৌছে দেয়। যা তরুণ কবিদের যোগাযোগে সার্বভৌম ক্ষেত্র তৈরী করেছে।
শেষরাতের কবিতার হৃদয়ফ্রেমে বন্দি তুমি/ বন্দি আমার স্বপ্নশেকড়ের গভীরে [শ্রাবণী সেন/ নেত্র ছুয়ে জল, পৃঃ ৯৮]
কবি শ্রাবণী সেন ২০০৮ সালে মারা যান। সদালাপী ও বন্ধু বৎসল শ্রাবণীর অকালে চলে যাওয়া বন্ধুদের কাদিয়েছে নিশ্চয়। কবিদের অনুভূতি গাঢ় বলে আমরা জানি। সম্পাদকদ্বয় তাকে মনে রেখেছেন। শ্রাবণী, কবিতার মতো তোমার কবি বন্ধুরা তোমাকে ভুলেনি।
উড়ার বেসাতি নিয়ে যদিও ভালোবেসে ছিলো নীলিমাভ্রমণ/ মূলত সে গেয়েছিলো শিকড়ের গান। ফেরার গতি ছিলো/ তার প্রস্থানের পাখায়। অন্তঃস্রোতে মাটির দরদ মেখেও/ ডানাবাজ পাখিরা মহাশূন্যের অভিযাত্রী হতে চায় কদাচিৎ [আলী প্রয়াস/ পাখি, পৃঃ ১০]
কবিতাকে দশকে ভাগ করা নিয়ে অনেকের অভিযোগ আছে। কেউ কেউ বলেন নিদিষ্ট কালে বেধে দিলে কবিতার প্রকাশ, আঙ্গিক, বিষয়কে সীমাবদ্ধ করে। এ ধরনের চিন্তার নিশ্চয় একটা বাস্তব দিক আছে। আবার, তার সাথে সাথে স্থান-কালের যে জীবন তাতে আমরা দেখি প্রতি দশকেই দুনিয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ বাক তৈরী হয়। কবিতার অসাধারণত্বে একমত হয়েও বলা যায়, কবিতাকে ইতিহাসের বাইরে নেবার চেষ্টা অনেকে ক্ষেত্রে নিস্ফল চেষ্টা মাত্র। কবিতা মানুষের অস্তিত্ত্বকে সবল ও অর্থপূর্ন করে। তাই সে দুনিয়াবী জীবন-যাপন থেকে আলগা নয়। এতে আসমানী কোন বাসনা থাকলেও তার জারক রস জারিত হয় স্থান-কালের ভাষার জগতে। তাই আমাদের কৌতুহল থাকতে পারে। এই কালে কবিতার আসমানী অভিযান কোন কোন তারকার আলোয় আলোকিত।
রূপা এখন মিউজিয়ামের নারী/ প্রত্মতাত্ত্বিক দ্রব্যের মতো তার হাত স্পর্শ হাসি/ তার চোখ মাঝে মধ্যে পড়তে গিয়ে পড়তেই পারি না/ একটা শাদামাটা কাগজের নৌকো/ ভিজে মলিন হতে হতে ডুবে যায়/ কুশিলব মেয়েটির হাতের চায়ের পিরিচ/ দুলতে থাকে মেট্রোপলিটন দোলনার মতো [রিফাত হাসান / আমরা আসলে বৃষ্টি ভিজতে যাচ্ছিলাম, পৃঃ ৭৫]
কবিতা মুহুর্তকে ধরে ধরে এগিয়ে যায়। ভিন্ন ভিন্ন মুহুর্ত কথামালায় একসুত্রে গেথে কোন পরম মুহুর্তে চলে আসে। এই অর্থে কবিতা কিছু অস্তিত্ত্ব তৈরী করে। সেই অস্তিত্ত্বের অভিব্যক্তি নান্দনিক রূপে কবিতায় মূর্ত হয় বলে, কবিতার মুহুর্ত বিশেষ হয়ে ধরা পড়ে। এই নির্মাণকে কেউ কেউ পরম মুহুর্ত বলে থাকে। যেটা পাখা মেলে আকাশের দিকে উড়ে চলে অবিরাম। কবিতা যদি ঘুড়ি মতো উড়তে উড়তে গোত্তা খেয়ে মাটিতে নেমে আসে, তাহলে কষ্টকর। এই সময়ের কবিতা মুহুর্ত নির্ভর। একেকজন কবি এইসব মুহুর্ত নির্মাণে উপমা নির্মাণ আঙ্গিকে চমৎকার সব কাজ করেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে নিরাশ হতে হয়। মুহুর্তের মধ্যে আটকে থাকার ফলে কবিতা তার ঘুড়ি মতো উড়ে না। কখন সে দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছে টের পাওয়া কঠিন হয়ে দাড়ায়।
শেষ বিকেলের রোদ নিস্তরঙ্গ হলে তুমি বিছানায় যাও আর সবাকার মতো তোমারও রয়েছে এক নিজস্ব চিল, যাকে আকাশে ওড়াতে তোমার সামান্য সময় নিতে হয়। [চানক্য বাড়ৈ/ আষাঢ়ের পংক্তিমালা, পৃঃ ১১৪]
নিজেকে জানানোর স্পর্ধা কবিদের বুঝি সবসময় একটু বেশী। অন্যদের চেয়ে আলাদা। কবিরা মুছে দেয় পুরাতন সম্পর্কের ভেদরেখা। তাই আমরা কবি কি বলে তা শুনতে আমরা মুখিয়ে থাকি। কবি বলে দেয় সে কোথাও যাচ্ছে। কেন যাচ্ছে। কেন সে থেমে পড়েনি। এই জানার বুঝার ভেতর গিয়ে তার গন্তব্য টের পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, কবি নানা ছলে তার পাঠকদের তার গন্তব্যে নিয়ে ছাড়েন।
আমার তুলনা নাই; তুলনারহিত/ যেহেতু আমার অঙ্গে তাহার আকার/ মিশে আছে নিরাকারে, তাহারা সহিত/ কোনো ব্যবধান নাই আমার আত্মার/ আমি তার মায়াকাননে; গুপ্ত আশ্রয়/ আমাকে ভর দিয়ে নিত্য প্রকাশ পায়/ তার সকল মহিমা; পরম বিস্ময়/ আমি তার দাস; ফলে দাস্যভাবে নত/ আমি-ই হই অদ্বিতীয় পরম ব্রè/ ফলে তার ভেতরে মেশে গিয়ে আনত/ ভব প্রেমে বিস্তৃত আমার সব কর্ম/ আমাকেই ভর করে তাহার আকার/ অদ্বিতীয় ভিন্ন তার হয় না প্রচার। [ইকতিজা আহসান/ স্বভাব ও ঈশ্বর, পৃঃ ১১৬]
আমি যুবক হতে পারি নি। যখন কিশোর ছিলাম, বয়স ছিলো চৌদ্দো কি পনেরো- তখন পচিশবছরের ছেলেকে দেখলে ভাবতাম ঐ ছেলে যুবক হয়েছে। আমি এখন পচিশ; তবু কিশোর আর তারুণ্যকে ছেড়ে যেতে পারি নি। আমি বুঝি আজও যুবক হতে পারি নি। [আতিক বিন সাঈদ/ আমি যুবক হতে পারি নি, পৃঃ ২০]
দুইটি শালিক-কবিতা ও রাজনীতি এসে বসেছে মনডালে/ পরস্পর মুখোমুখি-দ্বন্ধে নয়/ গভীর তারা অনুভব করে/ একে অপরের প্রতি/ জোড়া শালিকের মৈথুনে যে শুক্রানু-ডিম্বানু বয়/ ব্রান্ডের প্রাণিক’লে তা অনন্য সুনিশ্চয়। আর হয়তো এই-ই/ গুঢ় তফাত মানুষ ও তাবৎ মাখলুকাতে [মোস্তফা হামেদী/ জোড়া শালিকের গল্প, পৃঃ ১২১]
নিজের সম্পর্কে সচেতনতার গৌরব মানুষের আজন্ম। সেটা নিজেকে চেনার নাম কওে হোক আর নাম সাকিন ঠিকুজি হদিসের ভেতর দিয়ে একটা সমচেতনা তৈরী করে। তখন কবি নিজের ভেতর দিয়ে সমাজ সংসারকে ধারণ করে। সময়কে ধারণ করে। কবিদের নির্লিপ্ত কাতরতার ভিড়ে সেটা দুর্লভ নয়। তখন আমরা সময়ের ভেতর দিয়ে নিজেদের খুজি। কবিতার ভেতর দিয়ে নিজেদের খুজি। তাই বিষয়ে থেকেও বিষয়ের সীমানাকে চেনা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কেন জানি সেই জায়গা থেকে এখানকার কবিদের দূরে দূরে মনে হয়। কবি আপন গৌরবে বুদ হয়ে থাকেন বলে নাকি নিজেকে বিষয় করে তোলার তাগিদ তার মধ্যে নাই। তাহলে আমরা সময়কে চিনতে চাই তার ব্যাপ্তি কি কবিদের জানা নাই। এটা ভাবা কষ্টকর। কবিরা যদি সময়কে চিনতে ভুল করে অথবা সময়ের অভিমুখকে বুঝতে না পারেন তাহলে সে দায় কবিদেরই নিতে হবে। হয়তো এমন নজির আছে যা আমাদের চোখ এড়িয়ে গেছে।
জুয়ার আসরে কোনো আঙ্গুলই মিথ্যা নয়। মিথ্যা নয় জুয়ার সাহেব বিবি। জুয়ার আসরে নাচবে বলে যে মেয়েটি বড় হয় তার চোখের ইশারায় চলে জগতের ট্রেন। এমন কথা মিথ্যা নয়। জুয়ার আসরে নাচবে বলে বড় হয়ে যাওয়া মেয়েটি আর ইশারাঘন ট্রেনের গতিবিধি সত্যের দিকে। তাইতো আমরা জুয়ার দিকে বেকে যাই সহজে। জুয়ার আসর থেকে ছেড়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেনই বেকে গেছে দুঃসময়ের দিকে। [জুয়েল মোস্তাফিজ/ জুয়ার আসরে কোনো আঙ্গুলই মিথ্যা নয়, পৃঃ ১৩৫]
আমার মা একজন নিপুণ রন্ধনশিল্পী। জীবনকে চেনার আগে থেকেই মা এই শিল্পকে চেনতে শুরু করেন। রান্নাও যে একটা বড় শিল্প, আমার মায়ের রান্না না খেলে সহজে কেউ বুঝে উঠতে পারবে না। এমন মগ্নচৈতন্যে মা রান্না করেন, খেলে মনে হয় অমৃত। স্বাদটা লেগে থাকতো জিভে ও ঠোটে।.. তৃতীয় বিশ্বের বাসমতি কী করে টেকনোমতি হলো- সে কথা জানার পূর্বে ঘটে যায় কতো অঘটন। বাসমতি নিজের দাবী করে পাশ্চাত্য। এ উপমহাদেশ তখন একরাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের সাথে ুদ্র স্বার্থের খৈ ভাজে। আমাদের বাসমতির বুক রক্তাক্ত হয়। রক্তদগ্ধ বুকে সে ফিরে আসতে চায় স্বজনের পাশে, তচিহৃ বুকে নিয়ে আমাদেও এই গাও-গেরামে। [মনির ইউসুফ / আমাদের বাসমতি, পৃঃ ১৫৬]
সংকলনটিতে ১৩০জন কবির দুইটি করে কবিতা আছে। প্রথমস্বর উৎসর্গ পত্র: বিনয় মজুমদার, আমৃত্যু কবিতালগ্ন সারস। সংকলনটিতে একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা লিখে দিয়েছেন ষাটের দশকের কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। কবি নুরুল হুদা বলেন, কবিতা অনেক রকম তার নির্মাণও বিচিত্র। কেউ উৎপ্রো নির্ভর, কেউ সরল বর্ণনায় অনন্য। তবে কবিতা শেষাবধি সুন্দরের মূর্ত প্রকাশ। কবিতা বিমূর্ত বিষয়ে লেখা হলেও তা সুন্দরকেই মূর্ত করে। তবে একেক কবির নির্মিত মূর্তি একেক রকম। কবিতায় দেশ-জাতি ও নিজের ইতিহাসের কথা ফুটে ওঠে, ওঠাই স্বাভাবিক। প্রথম দশকের কবিদেরর এই বিষয়গুলো আমলে রাখতে হবে। যে অভিব্যক্তিতেই হোক তাদের রচনায় যেন মানুষের মানবিক সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
সম্পাদক দুজনকে সংকলনটির নামকরণ এবং উপশিরোনামের জন্য ধন্যবাদ দেয়া যায়। শূন্য দশক নামের অধিভৌতিক কিছু ব্যবহার না করে প্রথম দশক উল্লেখ করে মূর্তমান সময়ের বয়ান দাড় করিয়েছেন। এই সংকলনের ত্র“টিগুলো স্বীকার করে নির্ঝর নৈঃশব্দ্য ইতিমধ্যে একখানা ব্লগপত্র লিখেছেন। তাই সেদিকে কথা না বাড়িয়ে টাকা ধার করে এমন একখানা সংকলন প্রকাশে কবিতার প্রতি সম্পাদক দুজনের ভালোবাসা টের পাওয়া যায়। সবশেষে নির্ঝর নৈঃশব্দ্যের জবানে বলা যাক, কবিতা ও সুন্দরের জয় হোক।
প্রথমস্বর: প্রথম দশকে পরিব্যাপ্ত ও বিকশিত কবিদের নির্বাচিত কবিতা। সম্পাদক: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য ও মনির ইউসুফ। প্রচ্ছদ নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। প্রকাশক লেখালেখি। প্রকাশ কাল একুশে বইমেলা ২০১০। পৃষ্ঠা ১৬০। পেপারব্যাক। দাম ১০০ টাকা।
আমরা আমাদের সময়কে নানাভাবে বয়ান করি। সেই বয়ানের মাঝে আমরা এটা উপস্থান করতে চাই যে আমরা এক নয়া তরিকার অনুসারি বা এও বলতে চাই অন্যরা যা বলেছে তা আমরা বলতে আসিনি। তবে ঐতিহ্যের যে সিলসিলা তা বজায় রাখছি।
প্রথম দশকের কবিদের যে সংকলন প্রকাশ হইছে তার একটা পরিচিতি লোকসমাজে জানান দেয়ার জন্য বন্ধ ওয়াহিদ সুজন যে চেষ্টা তদবির করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দবিদার। তবে এর মধ্যে কারা কারা হাজির ছিলেন তা খোলাসা করেনি। জানি না তাদের নাম প্রকাশিত হইলে কোনো প্রকাশ পাপ আছে কি না? তবে এটা বলতেই হয় যে উদাহরণগুলো যথপোযুক্তভাবে টেনে আনা হয়েছে আলোচনার সার্থে।
লেখাটিতে একটি তর্ক হাজির আছে প্রথম দশক ও শূন্য দশক নামে। এতর্কটা দুই দলে বিভক্ত হয়েছে। দুদলই যার যার অবস্থান থেকে সত্য বয়ান করছে। সময় বলে দেবে সময়ের নাম কি হবে।
অশেষ অশেষ শুকরিয়া এমন একটি বইয়ের চরিত্র উন্মেচনের জন্য।
না, কবিগণের নাম প্রকাশে কোন পাপ নাই।
প্রথমস্বর কবিক্রম:
আফসানা শারমিন। আলী প্রয়াস। আল্লাইয়ার। আমজাদ হোসেন। আন্দালীব। অঞ্জন সরকার জিমি। অরণ্য শর্মা। আরেফীন ছদ্মহীন। আশরাফ মাহমুদ। আসমা বীথি। আতিক বিন সাঈদ। অনিরুদ্ধ অর্বাচীন। অনুপম কমল। আয়েশা আক্তার। বাসুদেব নাথ। এহসান হাবীব। সুদীপ চৌধুরী। বিজু সময়। চয়ন চাকমা। শেরাম চীংখৈ। সৈয়দা ডালিয়া। ফারাহ্ সাঈদ। ফরিদ মজুমদার। ফয়সাল অভি। গায়ত্রী সান্যাল। গোঁসাই পাহলভী। হাসান মাহবুব। ইফতেখার। ইফতেখারুল ইসলাম। ইকরাম হোসেন। শূন্য আরণ্যক। জাবের। জেনিফা সুলতানা। কাফি কামাল। কালিদাস কবিয়াল। কনা আকন্দ। কন্থৌজম সুরঞ্জিত। কৃষ্য কাজী। লিথি চাক। লুসিফার লায়লা। মল্লিক মনন। মানস চাঁদ। মেঘনাদ। মিশুক এহসান। মোহিত সোহাগ। ময়নালী। মুক্তি মণ্ডল। নির্লিপ্ত নয়ন। নিজাম উদ্দিন। সোহেল মাহমুদ। নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। প্রণব আচার্য্য। প্রবাল দ্বীপ। প্রদীপ পরি। রাসেল। রায়েহাত শুভ। রাজীব দত্ত। রাজীব কুমার। রিফাত হাসান। রুবেল শাহ। রুদ্র অনির্বাণ। রুদ্র শায়ক। সবুজ তাপস। সাইদুল ইসলাম। সৈকত দে। সালাউদ্দীন খালেদ। সৈয়দ আফসার। শফিকুর রহমান। সুস্মিতা রেজা খান। শান্তনু শান্ত। শারজিতা দিশা। আব্দুল্লাহ হোসাইন। শিমুল ভট্টাচার্য্য। সৌরভ পথবাসী। সিফাত রিজওয়ানা।শিমুল সালাহ্উদ্দিন। সাদিকা রুমন। কৃষ্ণ তরুণ। শ্রাবণী সেন। ওয়াহিদ সুজন। সৈয়দ সাখাওয়াৎ। যামিনী কবিয়াল। শুচি রহমান। সৌম্য সরকার। মানিক বৈরাগী। তারেক আহসান। চানক্য বাড়ৈ। ইকতিজা আহসান। ফেরদৌস মাহমুদ। মাদল হাসান। মাসুদ পথিক। মোস্তফা হামেদী। রাশেদ শাহরিয়ার। দিদার মালেকী। মাহফুজ রিপন। বহ্নি কুসুম। নাভিল মানদার। রাজীব আর্জুনি। আজাদ আলাউদ্দিন। তুহিন তৌহিদ। শামীম আক্তার। নুপা আলম। শামীম সিদ্দিকী। জুয়েল মোস্তাফিজ। নিতুপূর্ণা। মামুন খান। মাহমুদ শাওন। অচিন্ত্য চয়ন। অরবিন্দ চক্রবর্তী। মাসউদ শাফি। সনোজ কুডু। সাদিক মোহাম্মদ। কাজী সোহেল। শাকিল সারোয়ার। পাভেল মাহমুদ। শারদুল সজল। ঝুমা চৌধুরী। সেলিম মেহেদী। নিলয় রফিক। ফারহান ইশরাক। শাকিল মাহমুদ। মনির ইউসুফ। জামিল জাহাঙ্গীর। রহমান মুফিজ। শহিদুল ইসলাম।
সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।