ঘুম পাড়ানী গান

এক.
আমার মা …
মা আমায় গানে গানে ঘুম পাড়াতেন। ক্লান্তি— আর মায়াতে মাখামাখি। এই বেলায়, আমি

মা কি চমৎকার করেই না গল্প শুনাতেন। জনম দুঃখী ছোট রানী ও তার পুত্র । রানীর দুঃখের কাল শেষ হয়, তবে তা হয় জীবনের শেষবেলায় আর রাজপুত্তুর বীরভোগ্য বসুন্ধরা, তার দুঃখ দীঘস্থায়ী হয়না। সেই রাজপুত্তরটি আমি ছিলাম হয়তো বা, তাই মন না চাইলেইও মেনে নিতেন কিছু না কিছু দুঃখ তার ছেলেকে ভোগ করতে হবে। তবে তা অন্যদের' চে বেশী কিছু না। সব মায়েরাই এমন হন।

অনেকবার চেষ্টা করেছি, ঘুম পাড়ানী গান মনে করার। আমি শুধু দিগন্ত বরাবর হাটি। কিন্তু সেই দিগন্ত দূর থেকে দূরে সরে যায়। আমি কখনো সেই গানটি মনে করতে পারি না। যদি কখনো পৌছতে পারি- আকাশ আর মাটি যেখানটায় এক হয়ে গেছে। সত্যিই কি মা কখনো গান গাইতেন । তবুও কেন এমন মনে হয়? আমার মা আমার একের বদলে দুই হয়ে উঠেন। এক মা ঘুম পাড়ানী গান গাইছেন । আরেক মা, যাকে কখনো গান গাইতে শুনি নাই । কিন্তু দুই মা ছায়া হয়ে মাথার উপর।

মা কি চমৎকার করেই না গল্প শুনাতেন। জনম দুঃখী ছোট রানী ও তার পুত্র । রানীর দুঃখের কাল শেষ হয়, তবে তা হয় জীবনের শেষবেলায় আর রাজপুত্তুর বীরভোগ্য বসুন্ধরা, তার দুঃখ দীঘস্থায়ী হয়না। সেই রাজপুত্তরটি আমি ছিলাম হয়তো বা, তাই মন না চাইলেইও মেনে নিতেন কিছু না কিছু দুঃখ তার ছেলেকে ভোগ করতে হবে। তবে তা অন্যদের’ চে বেশী কিছু না। সব মায়েরাই এমন হন।

আমার মা…চোখ বন্ধ করলে দেখি সংসারের কালি ঝুলি লেগে থাকা হাত দুটি বাড়িয়ে বলছেন, ‘খোকা আয়’। সহজে কি আর ধরা দিই, সারা বাড়িময় ছোটাছুটি। মা-ছেলের গোল্লাছুট। তারপর যখন মা ক্লান্ত হয়ে পড়েন, পেছন থেকে গলা জড়িয়ে বলি, ‘’মা’। তিনি কপট রাগ দেখান। আমি আরো শক্ত করে ধরি।

জগত সংসারের উপর রাগ করার তার কোন অধিকার ছিলো না। শুধু মা-ছেলের জগতে একটুখানি স্বাধীনতা। হয়তো এতেই তার সন্তুষ্ঠি।

দুই.
বিশাল দু’হাত ছড়িয়ে মাঠটায় শুয়ে আছি। আমি এবঙ বৃষ্টি। অঝোর ধারায় সে ঝরছে। অর্ধ অন্ধ মানুষটা চশমা খুলে দেখি জগতটা অস্পষ্ট গাঢ় কোমল মেঘে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছে। বৃষ্টির ফোটা অনন্ত সমুদ্দুর হয়ে আমাকে ডুবায় আবার ভাসায়। বৃষ্টি আমার হাত ধরে , চুল ছুয়ে দেয়, কপালে হাত বুলিয়ে দেয়, চুমু দেয়, গুনগুন করে।

তারপরও এই প্রার্থনায় জেগে থাকি- মা, আরেকবার ঘুম পাড়িয়ে দাও। আবার নতুন করে জন্ম নিই।

শরীরের নীচে ঘাসে’রা জীবন্ত হয়ে উঠে। নতুন জলের স্পর্র্শে প্রান ফিরে পেয়ে এদিক ওদিক ছুটছে যেন । মেয়ে ব্যাঙগুলো উৎসবে মত্ত। এই হল্লার ভেতর মা এসে বলে, ‘খোকা বেশী ভিজিস না অসুখ করবে’। আমি বলি, ‘তুমি তো আছো’। মা হাসেন। মা আর বৃষ্টি একাকার। কেউ আমায় ছুতে পারে না। দুঃখ, কষ্ট, শোক, অসুখ ।

টিনের চালে ঝম ঝম ঝম । একঘেয়ে শব্দ । জগতের সব’চে মধুরতম সংগীত। আরামে চোখ মুঁদে আসে । বাতাসে জানালার পর্দা পালের মতো ফুলে ফুলে উঠে । খোলা জানালা দিয়ে আসে জলের ঝাপটা । আহা, আমি সিনবাদ। আমি মনি মানিক্য কুড়াতে যাচ্ছি সেই জাদুর দেশে। তুফানে আমার জাহাজ টল মল।
‘বদর বদর’।

রাত গভীর হয় । বৃষ্টি বাড়ে। অধো ঘুম অধো জাগরনে আমি ঘুম পাড়ানী গান শুনি । থেমে থেমে আমিও যেন গেয়ে উঠি । সবাইকে নিয়ে মধুর সেই ঘুমের দেশে আমার অভিযান।

আধো ঘুম আধো জাগরণে বুঝতে পারি, বৃষ্টির সুরে গান গাইতেন মা। মা ছাড়া জগতকে এমন প্রাণবান, ফলবান করে আর কেই বা আসে। নতুন জীবনের গান শুধু তিনিই গাইতে পারেন।

মা.. তোমার গান আজো আমায় ঘুম পাড়ায়। তাই প্রতিদিন একেকটা নতুন জন্ম পেয়ে জেগে উঠি। আচ্ছা, একজন মা তার সন্তানকে কতবার জন্ম দেন। লক্ষ -কোটিবার হয়তো বা।

তারপরও এই প্রার্থনায় জেগে থাকি- মা, আরেকবার ঘুম পাড়িয়ে দাও। আবার নতুন করে জন্ম নিই।

>ব্যবহৃত ছবি দুটি নেয়া হয়েছে হাচিন্ডো ইকুয়েডর কালচার এবং ইনভেস্টিগেট এজিপ্ট সাইট থেকে।

এই লেখাটিতে ব্লগারদের মন্তব্য

সামহয়ার ইন ব্লগ

হারুন আল নাসিফ বলেছেন: মা.. তোমার গান আমায় ঘুম পাড়ায়। তারপর নতুন দিনে জেগে উঠি নতুনরূপে।

মা…তুমি শুনছো তোমার ছেলে কী বলে?

১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:২৫লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ হারুন ভাই।মা পাশে আছেন…………… এক্ষুনী বলছি।

২. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২১

অলস ছেলে বলেছেন: মা সবসময় মা। আপনার আমার সবার মা ভালো থাকুন, যেখানেই থাকুন না কেন।
সুন্দর লেখাটা পড়ে মন কিছুটা আদ্র আর স্মৃতিকাতর হলো। আর, বৃষ্টির সময় ঝাপসা চশমা খুলে আবছায়াতে তাকিয়ে থাকাটাতো আমার নিজেরই ঘটনা।
১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:২৭লেখক বলেছেন:
মা সবসময় মা। আপনার আমার সবার মা ভালো থাকুন, যেখানেই থাকুন না কেন।
সুন্দর লেখাটা পড়ে মন কিছুটা আদ্র আর স্মৃতিকাতর হলো। আর, বৃষ্টির সময় ঝাপসা চশমা খুলে আবছায়াতে তাকিয়ে থাকাটাতো আমার নিজেরই ঘটনা।
………………………………………………………ধন্যবাদ ভাই।

৩. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৪

ধ্রুবমেঘ বলেছেন: অসাধারণ। প্লাস।
আসলে মায়ের প্রতি ভালোবাসাটা স্রস্টার এক অনিন্দ্যসুন্দর দান।
মা’কে নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।Click this Link
১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩০লেখক বলেছেন:
আপনার লেখাটি পড়লাম।এতো ভালো লেগেছে, বলার কিছু নাই, চুপ হয়ে গেলাম।

৪. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৫

নুবিয়াবলেছেন: ভালোই তো।
১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩১লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ নুবিয়া।

৫. ১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১২

৭১ বলেছেন:
শব্দ ও সমূহে ময়ূরাক্ষী নামে একটা কবিতা পড়েছিলাম, মনে পড়ে গেল।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:০৫লেখক বলেছেন:
…. আমারও পড়ে গেলো।

৬. ১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭

আফসার নিজাম বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম
মাকে নিয়ে একটি স্মৃতিকাতর লেখা। দারুন লাগলো। স্মৃতি সবসময় মানুষকে কাঁদায় হাসায়। মানুষ স্মৃতি হাতরাতে বেশি পছন্দ করে। তাই মানুষ শেষ বেলায় একটি সম্পদ নিয়ে বেশি খুশি হয় যা তার স্মৃতি। মাকে আমার মনে পড়ছে। আমার মা নেই তাই মা শব্দটি শুনলেই চোখের কার্ণিশ বেয়ে নিজের অজান্তেই এক ফোঁটা পানি নেমে আসে দুনিয়ার সকল বাঁধ ছিঁড়ে। এখানে কেউই ফাঁরাক্কা বা টিপাইমুখি বাঁধ দিতে পারে না। এই বাঁধ দিতে এলে সেই ধ্বংস হয়ে যায়। মায়ের মতো করে যদি আমরা আজ টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পাড়তাম তা হলে চখের পানির মতোই প্রবহমান থাকতো আমাদের নদী। আমাদের আর মায়ের জন্য কাঁন্না করার জন্য পানির অভাব হতো না। হায় দুনিয়ার মানুষ একটিবার চিন্তা করো কতো ক্ষতি করতো তোমরা। একটি বাঁধ রচনা করে। জীবনের জন্য আলো জ্বালাতে কতো আলো ধ্বংস করছো।
কি বলতে গিয়ে কি বলছি সুজন ভাই। আজ আর কিছুই অন্য কিছু থেকে আলাদা করতে পারি না। কোথায় যেনো একই সুঁতায় গেঁথে গেছে জীবনের সকল অনুষঙ্গগুলো। মাকে মনে পড়ছে। আমার মা বকা দিতো পারতো না। বাবা ছিলো প্রচন্ড রাগি। আমাদের সকল অভিযোগ মাকেই বলতাম। তাই বাবার থেকে মাকেই বেশি মনে পড়ে। মাকে মনের করিয়ে আরো একটু কাঁদার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে অশেষ শুকরিয়া জানাই।
মা’আসসালাম
১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪৫লেখক বলেছেন:
ওয়ালাইকুমুস সালাম,
ভাই আপনার মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার ভাষা নাই। এগুলো চিরন্তন অনুভূতির মতো। আমার লেখা ধার তত বেশী না, কিন্তু তা যেভাবে আপনাকে আন্দোলিত করেছে, আমি যারপরনাই মুগ্ধ। পরম করুনাময়ের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

৭. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোনালী চিল বলেছেন: আরে এটা না আমার লিখ?………হা.হা.হা.হা…….আচ্ছা ঐই ঘুম পাড়ানী টা আমি না তো?…….
১৯ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩লেখক বলেছেন:
আম্মাজান কেমন আছেন?

৮. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:০৬

সিদ্ধার্থ আনন্দবলেছেন: আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনই লীলা তব……….।
২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৯লেখক বলেছেন:
আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনই লীলা তব……….।

৯. ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৬

সোনালী চিলবলেছেন: ছিলামরে বাপ ভালো কিন্তু তোর লিখা পড়ে আরো বেশি ভালো আছি…….
২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪১লেখক বলেছেন: ট্যান্কু মা জননী।

১২. ২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আহা মা……….
মন জুড়ানো লেখা……মাকে নিয়ে।ভালো থাকবেন।শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩২লেখক বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন।আজ আমার মায়ের মন খারাপ। তার ছোট ছেলে দেশের বাইরে চলে গেলো।

১৩. ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:
মাআমারে তুমি অশেষ করেছ এমনই লীলা তব
আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনই লীলা তব

২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩৬লেখক বলেছেন: আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনই লীলা তব
আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনই লীলা তব

১৪. ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৫

শত রুপাবলেছেন: ভালো আছি।আপনার কি খবর বলুনতো।

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩৯লেখক বলেছেন:
আমার খবর ভালো।
অলীক শূন্যতায় হেসে খেলে যাচ্ছে বেশ।

চতুর্মাত্রিক ব্লগে প্রতিক্রিয়া

৮ অক্টোবর ২০১০, ১:৩২ অপরাহ্ন তারিখে সকাল বলেছেন   

মা.. তোমার গান আজো আমায় ঘুম পাড়ায়। তাই প্রতিদিন একেকটা নতুন জন্ম পেয়ে জেগে উঠি। আচ্ছা, একজন মা তার সন্তানকে কতবার জন্ম দেন। লক্ষ -কোটিবার হয়তো বা।

আমার ভালো লেগেছে।
ওয়াহিদ, কেমন আছেন?

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৭২৪(২) ১৮ অক্টোবর ২০১০, ২:৪৫ অপরাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

ধন্যবাদ সকাল।
বেশ ভালো আছি। আশা করছি আপনি ভালো আছেন।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৭১৩(৩) ১৮ অক্টোবর ২০১০, ২:২৯ অপরাহ্ন তারিখে রিফাত হাসান বলেছেন   

আমার মা আমার একের বদলে দুই হয়ে উঠেন। এক মা ঘুম পাড়ানী গান গাইছেন । আরেক মা, যাকে কখনো গান গাইতে শুনি নাই । কিন্তু দুই মা ছায়া হয়ে মাথার উপর।..

এই লেখাটির জন্য এই লাইনগুলো বেশ ভাল, রহস্য তৈরী করে। লেখার মাল মশলা হল ভাষা। কিন্তু গদ্য নিয়ে যদি বলি, এখনতক আপনার ভাষা নতুন অর্থ তৈরী করে না- বণর্নাটা আপনার নিজের নয়- মনে হয় যেন অন্যর ভাষায় অনভ্যস্ত হয়ে কথা বলছেন।

ভাল আছেন?

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৭২৮(৪) ১৮ অক্টোবর ২০১০, ২:৫০ অপরাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

ধন্যবাদ রিফাত হাসান।
‘অন্যর ভাষায় অনভ্যস্ত’ এই কথা কেন বললেন আমার মাথায় ধরে নাই।
সে যাই হোক আপনার উপদেশখানা আমার জন্য পাথেয় হয়ে থাকল।
হুমম.. ভালো আছি।
আশা করি আপনি, ভাবী, মেধা সবাই ভালো আছেন।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৭৩২(৫) ১৮ অক্টোবর ২০১০, ২:৫৯ অপরাহ্ন তারিখে রিফাত হাসান বলেছেন   

সুজন, আমার মন্তব্য, যারে আপনি উপদেশ বললেন- তারে পাথেয় করলে ভুল করবেন। আমি মুখ্য-সুখ্যু মানুষ- পাঠক হিশেবে মন্তব্যটা বোধহয় একটু বেশ আগ বাড়ানো হয়ে গেছে। আমার মন্তব্যর ভাষাও মনে হয় আরো ইনানো-বিনানো হলে ভাল হতো। তবে- লেখকরা সাধারণত সমালোচকদের থোড়াই কেয়ার করেন- এবং সেটাই ভাল। এইসব পাথেয় টাথেয় করে নেওয়া নেওয়ি ভাল নয়। :)

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৭৩৭(৬) ১৯ অক্টোবর ২০১০, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

কুপা শামসু

গুল্লি

পিলাচ

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৭৫১(৭) ১৮ অক্টোবর ২০১০, ৩:৩৮ অপরাহ্ন তারিখে শাওন৩৫০৪ বলেছেন   

জগত সংসারের উপর রাগ করার তার কোন অধিকার ছিলো না। শুধু মা-ছেলের জগতে একটুখানি স্বাধীনতা। হয়তো এতেই তার সন্তুষ্ঠি।

শুধু এই লাইনটাই যে কত বড় একটা লেখা—
অনেক সুন্দর লেখা।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৮২৩(৮) ১৯ অক্টোবর ২০১০, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৯২৯(৯) ১৯ অক্টোবর ২০১০, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন তারিখে অনীক বলেছেন   

…এই হল্লার ভেতর মা এসে বলে, ‘খোকা বেশী ভিজিস না অসুখ করবে’। আমি বলি, ‘তুমি তো আছো’। মা হাসেন। মা আর বৃষ্টি একাকার। কেউ আমায় ছুতে পারে না।
দুঃখ, কষ্ট, শোক, অসুখ।…

আপনার এই উত্তমপুরুষে লেখা গল্প (নাকি সত্য ঘটনা?) গুলোর খুব খুব ভক্ত হয়ে উঠছি। এই সরলতা, এই শৈশবের টান টান টলমলে আবেগ বার বার মন পুড়াচ্ছে। লিখতে থাকেন এই ভাবেই! হাততালি

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৮০২১(১০) ১৯ অক্টোবর ২০১০, ৩:১৫ অপরাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৯৫৭(১১) ১৯ অক্টোবর ২০১০, ১২:২০ অপরাহ্ন তারিখে একুয়া রেজিয়া বলেছেন   

চমৎকার (সাতে সাত)

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৮৩০২(১২) ২০ অক্টোবর ২০১০, ২:১২ অপরাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

ধইন্যাপাতা(ধন্যবাদ)

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৭৯৯০(১৩) ১৯ অক্টোবর ২০১০, ২:০৪ অপরাহ্ন তারিখে নয়ন বলেছেন   

বেশ!!
আমি নির্বাক!
আর কিছু বলছিনা!!

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৮৩০৩(১৪) ২০ অক্টোবর ২০১০, ২:১৫ অপরাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা।।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৮০৮৫(১৫) ১৯ অক্টোবর ২০১০, ৪:৩৯ অপরাহ্ন তারিখে কবি বলেছেন   

আপনার লেখাটা আমার ভালো লাগলো – বেশ আপন আপন টাইপ লেখা –

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৮৩১২(১৬) ২০ অক্টোবর ২০১০, ২:২৫ অপরাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

বেশ আপন আপন …
কবি, আপনার এই কথাখান আমার খুব পসন্দ হইসে।
আপনারে বেশ আপন আপন লাগতেসে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৮৪৩৩(১৭) ২১ অক্টোবর ২০১০, ৪:১৯ পূর্বাহ্ন তারিখে ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন   

মা.. তোমার গান আজো আমায় ঘুম পাড়ায়। তাই প্রতিদিন একেকটা নতুন জন্ম পেয়ে জেগে উঠি। আচ্ছা, একজন মা তার সন্তানকে কতবার জন্ম দেন। লক্ষ -কোটিবার হয়তো বা।

আরেকবার ঘুম পাড়িয়ে দাও। আবার নতুন করে জন্ম নিই।

অদ্ভুত মায়ামাখা একটা লেখা! পড়ার পর-ও নরোম নরোম একটা অনুভূতির কুন্ডলীর মাঝখানে পড়ে থাকলাম… অনেকক্ষণ!

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

#৪৮৯৯৩(১৮) ২৩ অক্টোবর ২০১০, ১২:৪৯ অপরাহ্ন তারিখে ওয়াহিদ সুজন বলেছেন   
লেখকের মন্তব্য

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা ..
ঝড়কন্যা…
কুন্ডলীর মাঝখানে পড়ে থাকল।
কেন যে লোকে ঝড়ের বদনাম করে।
শুভ ব্লগিং।

Comments

comments

2 thoughts on “ঘুম পাড়ানী গান

  1. অসাধারণ! প্রতিটি লাইনই চিরন্তন সত্য। হৃদয়ে বাঁধিয়ে রাখার মতো। মাকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু এত সুন্দর করে ভালোবাসা জানানোর ভাষা জানা নেই কবি! শুভেচ্ছা নিরন্তর।

    • শুকরিয়া।
      কতটা ভালো লিখেছি জানি না। কিন্তু ভালোবাসা একজন মানুষকে অনেক বড়ো করে তুলতে পারে।
      সেইটুকুই আমার নগদ লাভ।
      ভালো থাকুন।

Comments are closed.