নদীটার নাম সোমেশ্বরী, যাকে আদর করে বলি ‘ওহে সোমেশ্বরী’। ‘ওহে’ বলার মধ্যে কী এক অদ্ভুত ব্যঞ্জনা আছে_ অতিনিকট যেন। নিজের ভেতর কেমন যেন লাগে। আমরা যখন নেত্রকোনার বিরিশিরিতে, তখন আশ্বিন মাস। এর আগের মাসটা ভাদ্র। মেঘ দেখার জন্য চমৎকার সময়। আকাশের রঙ সজীব থাকে। আর এ সময়টায় আকাশ বিবর্ণ হতে শুরু করে। সোমেশ্বরীতে এখনও ভিনদেশি ঢল। এ ঢলই তার প্রাণ। ঢল ও বিবর্ণ আকাশের কারণে তার নীল আভা মুছে গেছে। তবু আমরা তার ঢালে আরও খানিকক্ষণ দাঁড়াই। শেষ বিকালের লালচে আভা আমাদের চোখে-মুখে। এরপর উঁচু পাড়ে উঠে বসি। একপাশে সোমেশ্বরী, অন্যপাশে বিলের মতো একটা বড় জলাশয়। বিলজুড়ে শাপলা বিরস মুখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। সকাল হলে মুখখানা হাসিতে ভরে উঠবে।