১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (আগস্ট ১৫, ১৯২২-অক্টোবর ১০, ১৯৭১) তৃতীয় ও শেষ উপন্যাস। বিখ্যাত লেখকের বিখ্যাত এই উপন্যাসের এমনই ধারা- উদ্বেগসঙ্কুল পাঠকদের খুবই উদ্বেগের মধ্যে রাখে। অথবা পাঠকদের আপন আপন জীবন আর তার অনিশ্চিত বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বেগসঙ্কুল করে তোলে। তাই, ক্ষীণকায় এই উপন্যাস পড়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। নিত্য আহজারিতে দেহ-মন আপ্লুত করে। উপন্যাসের তাবৎ চরিত্র, এমনকি প্রকৃতিরও। পাঠকের তরফে বলি- কী এক গুরুভার যেন কাঁধে চেপে বসে। সে ভারটা নামিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেতে চায়, কিন্তু ভারটা কাঁধে না থাকলেও কী এক অস্বস্তি। উপন্যাসের পাতায় বার বার পাঠককে টেনে নিয়ে যান ওয়ালিউল্লাহ। এই হলেন ‘কাঁদো নদী কাঁদো’র সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ। উপন্যাসটি বিশেষ এই পাঠকের মনে যে যে ভাবের উদয় ঘটিয়েছে তার বিবরণ দেয়া যাক। বলাবাহুল্য সে বিবরণ পাঠকের কলবের মতো এবড়ো-খেবড়ো। সে কারণে অনুমান করে বলা যেতে পারে সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয়-আশয় হাজির হবে হয়তো।