একশ কুড়িটি গাঁদা ফুল

নিরাভরণ রসুই ঘর থেকে কুড়িয়ে আনি একশ কুড়িটি গাঁদা ফুল। কার যে বউ- ফোলা ফোলা মুখ আদর করে কইতাম নতুন বউ আমারে বিয়ে কর নতুন বউ হাসত কিনা মনে নাই মনে পড়ে কাজল টানা দুটি চোখ মধ্যিখানে একটি গাঁদা ফুল। আতা গাছের উদর ফুঁড়ে ইশারায় মধ্যদুপুরে কাঁপে বড় আপার হলুদ ছায়া লোহা ছুইয়ে আম্মা তাড়িয়েছিলেন…

গাড়ীটি স্থির চেয়ে ছিলো আমার চোখে

গাড়ীটি স্থির চেয়ে ছিলো আমার চোখে রুমাল দিয়ে তার চোখ দুটি মুছে দিই রুমালে আকা ছিলো প্রজাপতির মুখ লাবণ্যহীন জোসনা-রোদের  সহবাসে কাকপোড়া নগরের অবোধ ইশারায় গাড়ীটি বেড়ে উঠে।

কানা খিজিরের আমলনামা

এক. ময়নাটার নাম খিজির। আমার মায়ের পোষা ময়না। মহাপুরুষ খোয়াইজ খিজিরের নামে নাম। যে কয়েকজন মানুষ কেয়ামত তক বেচে থাকবেন- হযরত খিজির তাদের একজন। কেন পাখিটার এই নাম রাখা হয়েছিলো আমাদের পরিবারের কারো ইয়াদ নাই। এমনকি মাও জানতেন না। তার প্রাণ ভোমরা ছিলো বয়সের গাছ-পাথরহীন এই পাখিটি। খিজিরের আসল মালিক ছিলেন মা’র কোন এক পর…

দ্বৈরথে বাঁধা নিত্য জীবনের অভিজ্ঞান

মানুষ নিজেকে ইতিহাসের ভেতরই প্রকাশ করে। এক অর্থে, মানুষ ইতিহাস চেতনায় বন্দী! ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার জন্য যুক্তির কষ্টিপাথর থাকে। থাকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রমান। কিন্তু মানুষের ইতিহাস শুধুমাত্র যুক্তির ইতিহাস নয়। কখনো ব্যক্তি তার বাসনায় ব্যক্ত হয় আবার কখনো বাসনা  নিজে অব্যক্ত ও অধরা থেকে যায়। এই ব্যক্ত-অব্যক্ততা ফুড়ে বের হয় মানুষের যাবতীয় নিত্য অভিজ্ঞান, দিব্য অভিজ্ঞান।…

ফিসফাস

হাতের রেখায় অনুজ্জ্বল হলো বাদামী পৃষ্টার ছোপ ছোপ ছাপ আমরা সে ফিসফিসানী এড়িয়ে মগ্ন পাখির খোঁজে পাহাড়ের নির্জনতায় হাঁটছিলাম।