শরৎ বিমর্ষ করে ঢের বিষম কান্নায় নিয়ে আসে পাখির শিস – ফুলের ঘ্রাণ হারিয়ে গেছে সমুদ্র মন্থনে। শরৎ- দুই ঝুঁটির বিস্মৃত মেয়েটি ফিরে আসে নামহীন সম্বোধনে ডাকে। ভাষাহীনে অজাচারে অলীক মেঘ ঝিলিক দিয়ে লুকোয় আড়ালে আমি পাখিটির শিস বুনি আর ফুলের ঘ্রান। খুঁজি বিষম লোবান জ্বালাই পিদিম। জ্বালিয়ে সেই সুর অনির্বাণ তবুও সে…
কবিতা কি, কেন বা কোত্থেকে আসে? কবিতা লেখে নাকি দেয়া হয়? কেউ চোখ কপালে তুলবেন, কেউ হাসবেন। স্বীকার করি প্রশ্নের মধ্যে নাদানী আছে। কিন্তু যদি আনাড়ি হন- এ ধরণের প্রশ্ন তুলে মাফ পেতে পারেন। আনাড়ি হয়তো গুছিয়ে বলতে পারে না- কিন্তু সে কি খুঁজে পেয়েছে তার নমুনা তো দেখাতে পারে। এই মুহুর্তে সামনে আছে সৈয়দ…
এক. মতিন উদ্দিন বাবার কবরে সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। পাখিটি ছিলো তার পেছনে, ছোট্ট কাঠাল গাছটির ডালে। যে গাছটি লাগিয়েছিলেন মোমিন উদ্দিন নামে বাবার এক ভক্ত। তাও বিশ বছর আগে। মোমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘর কোথায় কেউ জানে না- যেমন জানে না বাবার চিন-পরিচয়। মোমিন উদ্দিন দিন-রাত বাবার কবরের পাশে শুয়ে জিকির করতেন। তার জিকিরের আওয়াজে সুর…
কইছিলি পরানে বাঁধিব পরান!যা ঘুড়ি- তোর সাথে উড়াই পরানসুতো কার হাতে! ঘুড়ি, হায় মেঘ চিনিস না!মেঘের মরিচীকাপুড়িয়ে মারে আকূল পরানটারে।দূরে দূরে থাকিস তুইনাটাই-ঘুড়ির লুকোচুরি! কার কাছে বন্ধক রাখলাম পরান,বিরানে শুধায় নিমিত্তের বাড়ি।অভিমানে পরান জ্বলেআড় ভেঙ্গে কই দু’কথা- যদি তুই ফিরিস কারণ কলা ভেঙ্গেদুইয়ে মিলে তর্ক রাখব জারিকথা দিলাম পরানে বাঁধিব না পরানখুঁজিস না কোন নিমিত্ততোর…
মান্দিগ্রাম। যাকে আমরা গারো পল্লী বলি। শহুরে শিকারী মানুষদের ফসিল শিকারের উৎকৃষ্ট স্থান। নিজেদের অস্বাভাবিকত্ব আর বিকৃতির বাইরে যা আছে তাকে আমরা নানা নামে ডাকি। কেউ কেউ বলেন- মান্দিরা এই প্রগতির সংসারে অগতির মধ্যে আছেন (সুবিধা বঞ্চিত)। তারা যেন দূরে কোথাও ছিটকে পড়েছে- তাদেরকে মানুষ করা দরকার। জীবনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য, প্রাকৃতিকতা ও বৈচিত্র্যকে সমচেতনার নামে…
আর কিছুই নয় অধরা শব্দের বুনট মাত্র রাত্রিকে ঘুম পড়ায় গান শুনিয়ে দিবসে কথার ফুলঝুরিতে একাকার। ক্লান্তি চোখের সহোদরা- মধুর একাকীত্বে ভাই-বোন খেলছি এক্কা দোক্কা।
