হেগেল, খ্রিস্টীয় ট্রিনিটি ও কতিপয় ভুল বোঝাবুঝি

পিটার বেনসনের ‘হেগেল অ্যান্ড ট্রিনিটি’ অবলম্বনে এ লেখা। এবং অনুবাদকের কতিপয়ও বোঝাবুঝির আশঙ্কা সত্ত্বেও লেখকের নির্দেশিত কিছু বোঝাবুঝি ও তার দেখানো ‘সঠিক’ পথই আমাদের গন্তব্য। যেখানে জর্জ উইলহেম ফ্রেডরিখ হেগেলের ‘তিন’ সংখ্যাটির প্রতি অবসেশন ব্যাখ্যা করেছেন পিটার। তার মতে, এ বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তি আছে। আর বিভ্রান্তি তৈরিতে কার্ল মার্কসেরও কিছু ভূমিকা আছে! পিটার লেখার শুরুতে…

আত্মসচেতনতা, দুঃখ ও নৈতিকতা

‘আমরা পশুর মতো। শুধুমাত্র, আমাদের বৃহত্তর আত্মসচেতনতার কারণে, আরও বেশি দুঃখী।’ কথাটা আর্থার শোপেনহাওয়ারের। ‘পশু’ বলাটা সম্ভবত ‘ভালোত্ব’-এর বাইরের কন্ট্রাডিক্টগুলাকে ব্যাখ্যা করার তরিকা হিসেবে। অথবা যে সব ব্যাপারকে জীব জগতে এজমালি বলে ধরে নেওয়া হয়, সেগুলোকে। তো, এর মধ্যে বেটার কি কি আছে?

এনালাইটিক ও কন্টিনেন্টাল দর্শন : কী হলো, কেন হলো

নামে কী আসে? গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক একই সুবাস ছড়াবে। উইলিয়াম শেক্সপীয়রের ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের এ রকম একটি সংলাপ বেশ মশহুর। শেক্সপীয়রের সঙ্গে দেখা হয়নি ভিটগেনেস্টাইন, রাসেল কিংবা রাইলের। উপরের প্রশ্ন নিয়ে নাট্যকার যদি এই দার্শনিকদের কাছে হাজির হতেন, কী উত্তর পেতেন? ভিটগেনস্টাইনের জবাব হতে পারত ‘চিহ্নের ধাঁধা’, রাসেলের মতে ‘কনসেপ্ট বা প্রত্যয়ের…

অপর আছে, কী রূপে আছে

এক. এনালাইটিক বা বিশ্লেষণী ধারা ও কন্টিনেন্টাল ধারার দর্শনের মধ্যে অসংখ্য পার্থক্য রয়েছে। ‘অপরের সঙ্গে সম্পর্ক’ বিষয়ক আলোচনায় তার একটা আকর্ষণীয় দিক পাওয়া যাবে। বিশ্লেষণী ধারায় এ সমস্যার বোঝাপড়া খুবই সাদামাটা। যদি জ্ঞানের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনাটা শুরু হয়, ‘অপরের মনের সমস্যা’ বা ‘দ্য প্রব্লেম অব আদার মাইন্ডস’ নিয়ে প্রশ্ন হলো— কীভাবে আমরা অপরের মনের অস্তিত্ব…

রাজার ছেলে কিয়ের্কেগার্ড

এ দুনিয়ায় সোরেন কিয়ের্কেগার্ডের দুই-একটা ছবিই মিলে। বিষণ্ন চেহারার একজন মানুষ। রাজ্যের বেদনা-বিরক্তি ভর করেছে তার চোখে-মুখে। সে মানুষটিকে আমি বলি রাজার ছেলে। দর্শন সেতো রাজা। মরিস শ্লিক বা যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদ সম্পর্কিত এক দার্শনিক বলেছিলেন বিজ্ঞানের এ কালে সত্য খোঁজার মতো কোনো কাজ দর্শনের এখতিয়ারে আর নেই। তার কাজ ‘মিনিং’ নিয়ে। সে কোনো কিছু মিনিংফুল…

প্রভু এবং দাস্ নৈতিকতা

প্রধান দার্শনিক সমস্যাগুলোর অন্যতম নৈতিকতা বিষয়ক সমস্যা। পুরানা জামানা থেকে শুরু করে হাল আমলের দার্শনিকরা কেউ এই আলোচনাকে এড়িয়ে যান নাই। নীতিবিদ্যার সনাতনী ধারা মূলত মানদণ্ড নির্ভর ভালো-মন্দের আলোচনা। সে ধারায় যতটা না অভিজ্ঞতা নির্ভর তারচেয়ে বেশি বৌদ্ধিক। এ অর্থে নীতিবিদ্যা শুধুমাত্র কোন একটি মানদণ্ড ধরে কী করা উচিত আর কী করা অনুচিত সেই পর্যালোচনা…