হালাল টেলিভিশন

”মজার কথা হচ্ছে এই ছবিগুলো এখন আর সেল হয় না। পৃথিবীর সব দেশেই ঐ দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে সমালোচনা করে। ফিল্ম মেকাররা তো আর পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর না। যে শুধু একটা দেশের সুন্দরের গল্প করবে। সাহিত্যিক, কবি বা ফিল্ম মেকাররা এ দায়িত্ব নেয় নাই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে জীবনের সাদা কালো ভালো মন্দ সব দিকটা দেখানো। এখন আপনি কোন ছবিগুলোকে ইঙ্গিত করেছেন। যে ছবিগুলো দেখলেই বুঝা যায় তারা অন্য কাউকে খুশি করার জন্য জীবনের বিশেষ কোন একটি দিককে দেখছেন। যখন আপনি বাংলাদেশের ধর্মান্ধদের নিয়ে সিনেমা বানাবেন তখন জীবনের আরেকটি দিককেও তো আপনাকে দেখাতে হবে। যারা ধর্মান্ধ না তারা কতটা মানুষ হিসেবে ভালো এবং তাদের জীবনের দৃষ্টি ভঙ্গি কি। আবার কথা হচ্ছে আপনার ছবিটা দেখে যদি বুঝা যায় যে আপনি আমেরিকার দৃষ্টিকোন থেকে ধর্মান্ধ বলছেন তাহলে তো ঠিক না”

television_wahedsujan.com1২৫ জানুয়ারী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ‘টেলিভিশন’ সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্রটির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কথাগুলো বলেন। তিনি আমেরিকান চোখ দিয়ে দেখা ধর্মান্ধতার সাথে স্থানীয় অভিজ্ঞতার উদাহরণ টানছেন। এর সাথে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বেচাবিক্রির বিষয়টাও জড়িত। এই পার্থক্যকে বুঝা নানা কারণে জরুরী। কি সেই পার্থক্য, যার কারণেই ফারুকী টেলিভিশনকে আলাদা বলছেন? পুঁজির প্রতি সমচেতনাবোধ ও পণ্যের চাহিদা তৈরির ফন্দির যুগে যা কিছু লোকাল, তাই তো গ্লোবাল। সে ক্ষেত্রে আগের ম্যান্দামারা চলচ্চিত্রের সাথে নতুন কি যোগ করেছেন?

রানওয়ে (তারেক মাসুদ, ২০১০) বা অপেক্ষা (আবু সাইয়ীদ, ২০১১) চলচ্চিত্রের প্রেক্ষিত আন্তর্জাতিক অর্থে ৯/১১ এবং বাংলাদেশের জেএমবি-র ৬১ জেলায় বোমা হামলা। তাদের লক্ষ্য জঙ্গীবাদ থেকে তরুণদের রক্ষা করা। টেলিভিশন দেখার পর স্বীকার করতে হয় এই চলচ্চিত্রগুলো যে ভয়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তা যেন খানিকটা দূরের বিষয়। দূরে দাড়িয়েই ফারুকী তার চেয়ে সেনসিবলভাবে কথা বলতে চাচ্ছেন। ভিন রাস্তা দিয়েও  একই গন্তব্যে আমরা পৌছতে পারি! খুঁজতে হয়েছে ধর্মান্ধ ভালো মানুষ, নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন গহীন অঞ্চল, রসালো আঞ্চলিক টোন- এমনকি, বিশ বছর আগের কাহিনীকে এখনকার মোড়কে পরিবেশন। এইসব মিলে তৈয়ার হয়েছে খাটিঁ ও দেশীয় ব্র্যান্ড। সেই ব্র্যান্ড দেশের বাইরের ফান্ড ও সুনামে ঝকঝক করছে।সে ঝকঝকানিতে নিজেদের নূরানী মুখখানি দেখলাম। বুঝা যাচ্ছে ফারুকীর ধর্মান্ধতার স্থানীয় ভার্সন পুজিঁর আন্তর্জাতিক মূল্যকে পাশ কাটাইয়া যায় নাই।

কোহিনুর চরিত্রে তিশা

কোহিনুর চরিত্রে তিশা

ধর্মান্ধ আমিন চেয়ারম্যান (শাহির হুদা রুমি)  ভালো-মন্দ মিলিয়ে মানুষ। তাকে প্রথাগত ভিলেন অর্থে ট্যাগ করা যাচ্ছে না। উদারনৈতিকতার যুগের উদারতার ব্যবহারিক দিক এটি। ভাবখানা এমন- বুঝলাম তুমি ভালো, তবে আরেকটু ভালো হইতে হবে। তাতেই তোমার উন্নতি এবং আমার পিঠখানা চুলকে দাও। এইভাবে তৈয়ার হয় ভালো অথচ ধর্মান্ধ মানুষের লিবারেল ও হালাল ধর্মীয় বাসনা। টেলিভিশন তারে আমূল বদলে দেয়। তার পক্ষ থেকে পুজিঁর বিপরীতে বিপদের আশংকা নাই। যারা পুজিঁর  চরিত্র বিশ্লেষণ না করে হালাল শব্দ দিয়ে ধর্মীয় আবরণে সব পণ্যকে ঢুকিয়ে ফেলছেন তাদের জন্য উত্তম সমাধান বটে। যেটা ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা কিছুতে ঘটেছে। আপনি আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোতে শরীয়াসম্মতভাবে লেন-দেন করতে পারবেন, এমন দাবিও শোনা যায়। কিন্তু খোদ ভালো বা মন্দ জিনিসটাই বুঝা হয় না।

এই গল্প নাকি বাস্তবসম্মত হয় নাই। তা নিয়া অভিযোগ এন্তার। কিন্তু গল্পের গরু গাছে উঠলে কার কি! প্রশ্ন হলো গল্পের নিজস্ব পরম্পরা আছে কিনা- অবাস্তব বা বাস্তব তা নয়। যদি থাকেও কোন কিছু অনর্থক হাজির হয় নাই। ফারুকীর কথা মতে, টেলিভিশন প্রতীক মাত্র। তাইলে ধর্ম কি? এটাও কি প্রতীক। এটা তো বাস্তব।  তাহলে কিছু বাস্তব আর কিছু অন্য বাস্তবতার প্রতীকি উপস্থাপন। এর নাম বাস্তব আর প্রতীকের মেলবন্ধন। সে বন্ধন কি এই যে, নোয়াখালীর কোন গ্রামকে প্রথমে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে তারপর বিজ্ঞাপনের বাক্স দিয়ে জোড়া লাগানো। সেই দেয়া-নেয়া কি একই সাথে প্রতীকের মাধ্যমে প্রতীকি বয়ানেওয়ালার দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্নতা নয়! নাকি ভাগাভাগির পুরানা কৌশল- ভাগ কর, দখল কর। এই যদি প্রতীকি ব্যাপারই হয়, তবে ধর্ম কেন? যেহেতু ধর্মরে এই টানাহেচড়ায় সহজে টানা যায়- সেহেতু ধর্ম বিক্রির অনুষঙ্গ হিসেবে ভালো। ধর্মের এই বদনামির ভাগীদার ধর্ম নিজে নাকি অন্য কেউ!  তবে ফারুকী একটা জিনিস আমাদের সামনে ঝুলিয়েছেন-  কেউ কেউ (যেমন- আমিন চেয়ারম্যানের গ্রামীন জীবনে) ফারুকীর অচেতনে হলেও মনে করছে পণ্যের উমেদারি বিপরীতে ধর্ম রক্ষাকাবচ ও প্রতিবাদ। বিপরীতে ফাদেঁ হয়তো নতুন সম্ভাবনা এইভাবে বের হয়ে পড়ে। এই যদি ঘটনার সম্ভাবনা হয় তবে তিনি তা ধরতে পারেন নাই।  সে অর্থে কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো টাইপের কল্পনা দিয়ে সমাজ সংস্কারের ভূমিকা নিতে হবে।

টেলিভিশন ফারুকীর চতুর্থ চলচ্চিত্র। চর্তুথ চলচ্চিত্রে এসে মনে হয়েছে একটা পরিপূর্ণ কাজ করেছেন। ক্যামেরা ও ডিটেইলসের কাজের চেষ্টা ছিলো। সাথে তাড়াহুড়োও ছিল। সুন্দর লোকেশানে চিত্রায়িত এই চলচ্চিত্রে আরো কিছু প্রতীকী বিষয় আছে। যেমন- কোহিনুরের (নুসরাত ইমরোজ তিশা) ছোট ভাইয়ের প্লাস্টিকের গাড়ি আর পুরানো ব্রীজ। গাড়ির বিষয়টা খুব সুন্দরভাবেই বুঝিয়ে দেয়- আপনি বাহ্যিক দুনিয়াতে খবরদারি করলেও মনের উপরে করতে পারেন না। এই মন আবার বিচিত্র জিনিস। সে স্বাধীন, মুক্ত আর রসময় হতে চায়। তাই মুক্ত মনের উপর মোবাইল, স্কাইপে, সিনেমাহল বা টেলিভিশন বাসনার পাহারাদার হয়ে খবরদারি করছে। হালাল পক্রিয়ায়ও তার অংশ বটে।সেখানে বাছ-বিচারের সুযোগ নাই। ফলে টেলিভিশন যখন হজ্জ দেখায় তাই তা হালাল। তার আর কোন ঘটনা নাই, ইতিহাস নাই, নাই ক্ষমতার রাজনীতি-অর্থনীতি। এটা নিছক কবুল করে নেয়া।

এবার টেলিভিশন চলচ্চিত্রের শেষ দিকের কিছু অংশের দিকে মনোযোগ দেয়া যাক।

television_creditline-ws.comআমিন চেয়ারম্যান এই চলচ্চিত্রের বয়ানে ক্ষমতাবান ধর্মান্ধ। তিনি হজ্বে যাবেন। কিন্তু পাসপোর্ট করতে হলে ফটো তুলতে হবে। এই বেশরীয়তি কাজ করার পর তিনি নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দেন। আল্লাহর কাছে তওবা করেন। আল্লাহ তওবা কবুল করছেন কিনা আমরা জানতে পারি না।

ঢাকায় এসে দেখতে পান তার সামনে ঝুলে আছে নানান কিসিমের নর-নারীর ফটোওলা বিলবোর্ড। যারা অন্তহীন কামনা-বাসনা তৈয়ার করে। এটা ছাড়া তিনি আর কিছুই দেখেন না। এমনকি পরবর্তীতে হোটেলের দরজা খুললেই দেখেন সামনের বাড়ির বারান্দায় এক মহিলা চুল শুকাচ্ছে।

হজ্জ এজেন্সীর কাছে প্রতারিত হলেও ধর্মের নামে অধর্মের স্বীকার হওয়ায় তার কোন আক্ষেপ নাই। আক্ষেপ হলো, হজ্জ না করে গ্রামে ফিরে গেলে লোকে বলবে তার নিয়তে (মনের কারবার) গড়বড় ছিলো। তাই তিনি অধর্মের কাজ করলেন। একদিনেই শহর তাকে এতটা পাল্টে দিলো। তিনি ঠিক করলেন হজ্জের এই কয়দিন হোটেলে কাটিয়ে বাড়ি ফিরবেন। এই হলো ধর্মের নমুনা। শেষ পর্যন্ত ধর্মান্ধ অথচ ভালো লোককে তিনি দেখালেন অধর্মের কারবারি। তার ধর্ম-কর্ম দুনিয়াবী কারবার মাত্র। ফারুকী সেক্যুলার তরিকায় বাতচিত করতে যাইয়া ধর্মকেও দুনিয়াদারির লাজ-লজ্জার সামনে হাজির করলেন। এবার দেখবেন সে লজ্জা থেকে টেলিভিশন কিভাবে মুক্তি দিচ্ছে।

আমিন চেয়ারম্যান দেখলেন যে টেলিভিশনকে হারাম বলে নিজের গ্রামেই ঢুকতে দেন নাই- সেই টেলিভিশনের বাংলাভিশন চ্যানেলে (এই চলচ্চিত্রের মিডিয়া পার্টনার) হজ্জ লাইভ দেখাচ্ছে। তিনি বুঝতে পারেন এতো দিন কি ভুলই না করছেন। আল্লাহর ওয়াস্তে ভীষণ কান্না জুড়ে দেন। আচানক আবিষ্কৃত হালাল টেলিভিশনও স্বাক্ষ্য দেয় লাব্বায়েক, আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক। সুর মিলিয়ে তিনি জিকির তুলেন লাব্বায়েক, আল্লাহুমা লাব্বায়েক। টেলিভিশনে হজ্জ করার নতুন তরিকা আবিষ্কৃত হলো। আল্লাহ আগে মক্কায় থাকতেন, এখন থাকেন টেলিভিশনে। টেলিভিশন তাকে সারা দুনিয়ায় পৌছে দিলো। এভাবে দ্বীনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌছে গেল। ধর্ম-কর্ম নিয়েই ঘরে বসে থাকেন। সুতরাং, নোয়াখালীর জলবেষ্টিত অঞ্চলে হালাল টেলিভিশনের উপদ্রুব ঘটবে তার সংশয় নাই। মক্কা এখন ঘরে ঘরে।

এই প্রশ্ন করা ঠিক হবে না, সেসব হালাল টেলিভিশনে হালাল প্রোগ্রাম চলবে কিনা! অথবা টেলিভিশনের আছরে আরও যেসব উপদ্রুব হাজির হবে তারা হালাল কিনা। যারা পুজিঁর সাথে এক চিমটি নৈতিকতা আর এক চিমটি বিসমিল্লাহ দিয়ে হইলৌকিক ধর্মচর্চাকে জায়েজ করে নিয়েছেন- তারা হাততালি দিতে পারেন। আধুনিকতার ঠিকাদারদের চিনিয়ে দেয়ার জন্য এই মেলবন্ধন নমস্য।

> আরো পড়ুন: ইচ্ছেশূন্য মানুষ।মুভি

Comments

comments

22 thoughts on “হালাল টেলিভিশন

  1. হজ্ব এর যেই ঘটনা…পাবলিক এত সহজে কেমনে মাইন্যা নিতাছে আমার বুঝে ধরেনাই…যাক আপনে সে বিষয়ে আলোচনা কর্ছেন…

    হজ্ব আগে মক্কায় হইত…এখন হয় টেলিভিশনে…তাই টেলিভিশন হালাল হয়ে যায়…হজ্ব কবুল হইয়া যায়!!! এর ফাকে ধর্মকেও একহাত দেখাইয়া দেয়া যায়।

    ভাল্লাগছে আপনের কথা…খুব ভাল করেই ভদ্রভাবে মুভিরে ধুইছেন…

    সেক্যুলার আদমি ধর্মরে কতটুকু রিপ্রেজন্ট করতে পারবে এইটাও নিশ্চয় এই হালাল টেলিভিশনের মাধ্যমে আমজনতা বুঝতে পারব!

    ধন্যবাদ!

  2. ফিল্ম মেকাররা তো আর পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর না। যে শুধু একটা দেশের সুন্দরের গল্প করবে। সাহিত্যিক, কবি বা ফিল্ম মেকাররা এ দায়িত্ব নেয় নাই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে জীবনের সাদা কালো ভালো মন্দ সব দিকটা দেখানো।
    সুন্দর বলছে

    টেলিভিশন ফারুকীর চতুর্থ চলচ্চিত্র। চর্তুথ চলচ্চিত্রে এসে মনে হয়েছে একটা পরিপূর্ণ কাজ করেছেন।
    সহমত

    ফেসবুকে আপনার স্ট্যটাস দেখে মনে হয়েছিলো ছবিটা আপনার বেশ ভালো লেগেছে। রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে মোটেও ভাল্লাগে নাই আপনার। নাকি আমার বুঝার ভুল?

    • ভালো লাগে নাই সেটা বলছি না।
      একটা মুভি যেসব কারণে উপভোগ্য – তার অনেক কিছু এটাতে আছে।

      ফারুকীর কথাটা অবশ্য সুন্দর। সে কথা ধরে সে যা দেখালো- কেন দেখালো এবং দেখানোর মধ্যে কি কি ব্যাখ্যা আছে গুরুত্বপূর্ণ।
      ফারুকীর টোন যেদিকে নিয়ে যায়- সেই দিকটা আমি এভাবে বুঝেছি। শুধু ফারুকী না, আরো অনেকে এভাবে ভাবেন। ফারুকী এই সময়ে এমন কোন গ্রাম দেখাতে পারবেন না। কিন্তু দেখিয়েছেন। সেটা কোন না কোন ইনটেনশন বা পারপাস সার্ভ করে- এগুলা তো হুদায় করে না। সুতরাং, তিনি অসুন্দর দেখালেও কল্পনা করে দেখাচ্ছেন। এর পিছনে তার কিছু অনুমান নিশ্চয় আছে। যা শেষ পর্যন্ত পুজিঁর গন্তব্যে আমাদের পৌছে দিচ্ছে। এর বাইরে আমি কোন ব্যাখ্যা পাই নাই।

      তারেক মাসুদ-র চলচ্চিত্র আমার খুব একটা পছন্দের তা না। কিন্তু ফারুকী তারেই ক্রিটিক করে- ঘুর পথে সেদিকেই তো গেলেন।

      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মুভিটা আপনার কেমন লাগল জানা হলো না। কেমন লাগল?

  3. আপনার অবজারবেশন ভাল্লাগছে। তবে আমার প্রশ্ন হলো, এই ছবিও কি বিক্রি হবে? মানে যদি এই ছবি ইউরোপের বাজারে বিক্রি হয়, তাহলে বুঝতে হবে তিনি যেই ফর্মুলা অপছন্দ করেন, সেই ফর্মুলায় তিনি নিজেও পা রাখলেন। বিষয়টা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না। তাই নয় কি? নয়তো সিনেমা “সেল” করার প্রশ্নটা তার কাছ থেকে আসে কেনো?

    • হাঁ এই ডিলেমা তো আপাতমস্তকই বিদ্যমান।

      সেল বলতে তিনি যদি জনগণের কাছে সেল বুঝান সেটাই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতো।
      কিন্তু যে কথাগুলো বলে এই প্রসঙ্গে আসলেন সেটা স্বস্থিদায়ক নয়।

      ফলে ঠাকুরঘরের কিচ্ছা এসে যাচ্ছে।

  4. ছবি না দেখেই মনে হল দেখে ফেললাম। চমৎকার আলোচনা।

    (ছবিটা কি শিশুদের নিয়ে দেখা যাবে। আমার ছেলে আমাকে ছবিটা দেখাতে বার বার বলে যাচ্ছে।)

    • পুরা মুভি আমি দেখাই নাই।:)
      গল্প বলে দিয়ে মুভির মজা নষ্ট করার পাবলিক আমি না।
      আমি অতিসামান্যই বলছি।

      ফারুকী স্বভাবসুলভ অনেক মজাই করছেন। সেটা দেখতে ভালোই লাগে।
      ভাতিজাকে নিয়ে যেতে পারেন। কতটা মজা পাবে বলতে পারছি না। (এখন কেজি পড়া বাচ্চারাও লাভ মানে ভালোবাসা এটা জানে। :))
      তবে এই বয়সে এতো বড় পর্দার দিকে তাকাইয়া থাকাটাও অনেক মজার।

      • হা হা হা…।। ছবি পুরা না দেখেই!
        চলুক… বাসায় বলে দেখি। বুলেট কিন্তু ১০ পার করছে কয়েক মাস আগে! প্রেমের বয়স হয়ে গেছে!

        শুভেচ্ছা।

        • হা হা হা।

          তাইলে আর কি! আলাদা আলাদা বইসেন।
          তবে আমার বাবার মতো হলে অন্য কথা। উনি মোটামুটি সবসময়ই আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করেন। 🙂

  5. Awesome blog. I am here for the first time and I must say the article is an interesting one. Although the tone of criticism seems thoroughly one-sided ‘criticizing religious practices one way or the other’. I personally don’t support blind orthodox beliefs and I don’t support empiricism wholeheartedly either. And that’s why I feel two sides of a factor should be presented rather than one side of it.

  6. ধন্যবাদ আশরাফ। আপনার উপস্থিতি ভালো লাগল।
    আপনার সাইট দেখলাম। আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আরো জানতে পারলাম আপনিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। এটাও খুবই আনন্দের।

  7. ভালো লাগলো সুজন। যদিও প্লাস্টিক গাড়ির ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনাই। অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলতেছে যদিও।

    আচ্ছা, আপনার সাইটের অনেক কিছু এখনো ইংলিশে দেখায়। বাংলা করেন না কেনো!

    মাহদী হাসান

  8. ধন্যবাদ মাহাদী ভাই। আনন্দ লাগতেছে আমি আপনার সাইটে কমেন্ট করতে না পারলেও, আপনি আমার সাইটে পারতেছেন।
    আজকেও অ্যাক্টর মার্কিং পোষ্টে কমেন্ট দিতে গিয়া পারি নাই।
    গাড়ীর বিষয়টা বেশ ক’বার দেখাইছে। সম্ভবত: প্রযুক্তি কিভাবে মনের মধ্যে ঢুকে পড়ে- সেটা।

    কোনগুলো ইংলিশ দেখাচ্ছে। যেমন- By, Rate this, posted, Photos, leave a reply। এগুলোই কি? কিছু ঝামেলা আছে। আমি সাইটের কাজ পুরোপুরি জানি না। এছাড়া আমি যে টাকা খরচ করছি তাতে টেলপ্লেট কাস্টমাইজ করা যাচ্ছে না।

  9. আর কিন্তু ভালা লাইগসে, হেতেরা কি সুন্দর করি কি যে ঢঙ কইচ্ছে তয় কুমার মাষ্টার তো মনিটর কিনছিলো কিন্তু সবাই হেইডারে টেলিভিশন কইলো ক্যা

Comments are closed.