বস্তু ও ধারণার জগতের সম্পর্ক

একজন সত্যিকারের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিজ্ঞানী বিশ্বাস করে যেকোন কিছু হয় বস্তু অথবা শক্তি দ্বারা তৈরী। এটা ঠিক যে, বস্তু এবং শক্তি একই মুদ্রার দুই পিঠ মাত্র। তো, বস্তু আর শক্তির দুনিয়া যিনি দেখেন, সেই বিজ্ঞানী যখন প্লেটোর দর্শন পড়েন তার কাছে খুবই মজার ঠেকে।বিশেষ করে সক্রেটিসীয় ঐতিহ্যে ধরে প্লেটোর সংলাপ নির্ভর লেখা। প্লেটো নিজের তরফে কিছু বলতেন না, সব কিছুর বরাত ছিলেন গুরু সক্রেটিস। সক্রেটিসের হেয়াঁলিপূর্ণ কথা-বার্তা তার কালের লোকজনকে মুগ্ধ করত, নিঃসন্দেহে এইকালের বিজ্ঞানীদেরও করে। তারা যখন প্লেটোর দি রিপাবলিক বইটি পড়েন, সক্রেটিসের মুখে বয়ানকৃত গুহার রূপক পড়ে চমৎকৃত হন বলে জানা যায়।

মানুষের জ্ঞানের জগত সম্পর্কে প্লেটোর পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, এই জগত আধো অন্ধকারাচ্ছন্ন।এই জগতকে সে দেখে দেয়ালের ওপর অস্পষ্ট ছায়ার মাধ্যমে।ছায়া মালিককে সে দেখে না। দেয়ালে যে ছায়া পড়ে তাকে সে সত্যজ্ঞান করে। কিন্তু কেউ কেউ ছায়ার মায়া কাটিয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল দুনিয়ায় এসে পড়েন। প্লেটোর এই বিষয়টি আমাদের পক্ষে কল্পনা করা সহজ। আমরা দার্শনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি তারা আমাদের চিন্তাকে স্পষ্ট করতে চান । তারা আমাদের দেখিয়ে দিতে চান কোন কিছুকে কিভাবে সরাসরি দেখতে হয়।

এরমধ্যে মজা পাওয়া ছাড়া কোন বিপত্তি নাই- এমন না। যদি সেই দর্শনমগ্ন বিজ্ঞানী প্লেটোর ধারণাতত্ত্বের (Plato’s Theory of Forms or Ideas) পড়ে থাকেন, তবে তা তার জন্য মুশকিলের বিষয় হতে পারে। কারণ প্লেটোর তত্ত্ব মতে, প্রতিটি বস্তুর পেছনে একটা ধারণার জগত থাকে। সেই জগতে নিখুঁত বস্তু থাকে। এটা কোন নির্দিষ্ট বস্তুর সার্বিক রূপ। সেখানে সেই বস্তুতে নিখুঁত হবার সমস্ত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। দুনিয়ার বস্তুসমূহ তার অসম্পূর্ণ অনুকরণ মাত্র। এখন আপনার হাতে যে কমলাটি আছে সেটা হলো বিশেষ কমলা। এটা নিখুঁত বা সম্পূর্ণ নয়। বড় জোর একটা নিখুঁত কমলার মত মাত্র। সে আসল কমলা নিখুঁত কমলা হবার বৈশিষ্ট্য নিয়ে ধারণার জগতে বিরাজমান। এই ধারণার কৌশলগত বা প্রায়োগিক দিক আমাদের মুশকিলে ফেলে। বাস্তব দুনিয়া সব সময় নিখুঁতের পেছনে পড়ে থাকে।

সে তুলনায় গণিতের জগত শুদ্ধ। যেমন- ভলজানোর গণিতের খাঁটি বিশ্লেষণী প্রমান আছে। ডেভিড হিলবার্ট প্রতিষ্টা করেছেন স্থিতিশীল গণিত। কুর্ট গোডেলের সুত্র অথবা লুডভিগ ভিটগেনস্টাইনের চিত্রময় জগতের প্রমাণ। ভিটগেনস্টাইনের চিত্রময় জগতে দুনিয়ার গাণিতিক ব্যাখ্যার তরিকা দেয়া আছে। আপনার মনে হবে গণিতের প্রমান নির্ভর এই জগতটাই খাঁটি। অথবা লজিক্যাল পজিটিভিস্টদের বিজ্ঞান ও গণিত নির্ভর মানদন্ড। কিন্ত প্লেটোর ধারণাতত্ত্ব মানলে এই গণিতময় খাঁটি জগতে কানা গলি তৈয়ার হয়। বুঝতেই পারছেন প্লেটোর চিন্তার সাথে গণিতের পার্থক্য আছে। আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি আপনার হাতে থাকা বিশেষ কমলা, প্লেটোর মতে এই বিশেষ কমলাটি বিশুদ্ধ বা নিখুঁত বা পরম কমলার অপূর্ণ রূপ।

সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইর্য়কে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মাসিমো পিগলিউচি নিজেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী বলে দাবি করেন। তার ম্যাথমেটিক্যাল প্লেটোনিজম শিরোনামের লেখাটি ফিলোসফি নাউ পত্রিকার জুলাই ২০১১ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। তিনি এই পত্রিকার ফিলোসফিক্যাল সায়েন্সের করসপন্ডেট। পিগলিউচির লেখা একটি উল্লেখযোগ্য বই: Nonsense on Stilts: How to Tell Science from Bunk. বইটি প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। প্রকাশক University of Chicago Press. তার ব্লগের ইউআরএল: http://rationallyspeaking.blogspot.com/
আকারে ছোট এই লেখাটিতে তিনি বস্তু বা বস্তু জ্ঞানকারী শক্তিনির্ভর বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটা একই সাথে বিজ্ঞানকেন্দ্রিক জ্ঞানকান্ডের সীমা ও ভবিষ্যত ব্যাপ্তির ধারণা দেয় –যা দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের যুগল সম্পর্কের দিকটি উম্মোচন করে । লেখাটি উত্তম পুরুষে লেখা হলেও পড়ার সুবিধার্থে সেটা বাদ দেয়া হলো। একই সাথে কিছু ক্ষেত্রে সংক্ষেপন ও অতিরিক্ত তথ্য যোগ (দুটো প্যারার অদল-বদল)সহ লেখার শিরোনামটিও বদলে দেয়া হলো। সে অর্থে লেখাটিকে পুরোপুরি আক্ষরিক অনুবাদ বলা যায় না।

যেহেতু আপনি বিজ্ঞানী। কাজে বস্তু নিয়েই কায়-কারবার আপনার। সে দিক থেকে গুরু প্লেটোর তুলনায় শিষ্য এরিস্টটলের বুঝ আপনার পছন্দ হবে। এরিস্টটলে শিগগির যা বুঝতে পারবেন, তা গুরু প্লেটো সেই বুঝাবুঝির উল্টো। এরিস্টটল বললেন, যখন নিখুত পরিপূর্ণ কমলার কথা বলি, এটা আর কিছু না বাস্তব জগতের কমলাসমূহের বিমূর্তকরণ মাত্র। দুনিয়ায় এতো এতো কমলা আছে বলেই এমন বিশুদ্ধ বা নিখুঁত বা পরম সার্বিক কমলার ধারণা করা যাচ্ছে। নইলে এমন ধারণা আসত না। বুঝতেই পারছেন এই নিখুঁতের ধারণার মধ্যে নতুন কোন চমক নাই। আমরা যে দুনিয়ায় হাঁটা চলা করি সেখান থেকে এই ধারণার জগতের অনুমান করি। দুনিয়াবি কোন বস্তুই এমন কাল্পনিক নিখুঁতের ধারণাকে অনুকরণ করে চলে না।

আসুন, এবার আমরা পুরো বিষয়টাকে নতুন করে যাচাই করি। আমরা সেই শুদ্ধ প্রমাণের জগত- গণিতের জগতে আসছি। একটা কমলা লেবুর ধারণা আর বৃত্তের ধারণার পার্থক্য করুন তো। এখানে এরিস্টটলের ব্যাখ্যা সমস্যা তৈরি করে। কারণ, প্রকৃতিতে আমরা নিখুঁত কোন বৃত্ত পাই না। কোন প্রাকৃতিক বস্তুই জ্যামিতিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে নিখুঁতভাবে বৃত্তাকার নয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে পারি, আমরা যে বৃত্ত আঁকি বা বস্তুকে বৃত্তাকার আকৃতি দিই তার কোনটাই বৃত্তের শুদ্ধ বা নিখুঁত রূপের উপস্থাপন নয়। তাহলে এখানে এই নিখুঁত বৃত্তের ধারণা আসল কি করে? নিখুঁত কমলার ধারণাটিও মাথায় রাখুন।

বিষয়টা একটু অন্যভাবে খতিয়ে দেখা যায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য কি? একটা প্রধান পার্থক্য হলো, বিজ্ঞান প্রকৃতিতে থাকা বস্তু বা শক্তিকে আবিষ্কার করে আর প্রযুক্তির সাথে মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতা জড়িত। যেমন প্রকৃতিতে আমরা মধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেছি। মাধ্যকর্ষণ বস্তুকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। যার কারণে আমরা মহাশূন্যে ছিটকে পড়ি না। একই সাথে আমরা উদ্ভাবন করেছি উড়োজাহাজ। একটা উড়োজাহাজ বাতাসের চেয়ে ওজনে অনেক ভারী, আমাদের উদ্ভাবনী সাফল্যে সেটা মধ্যাকর্ষণ শক্তি অতিক্রম করে যায়। কিন্তু সেখানে গাণিতিক বস্তু কি করে, যেমন বৃত্ত অথবা সংখ্যা, পিথাগোরাসের প্রথম সুত্রের মতো গাণিতিক সুত্র অথবা ফর্মেন্টের এর শেষ সূত্রটি- এরা কোথা থেকে আসে? এদেরকে আমরা কোথায় রাখব? তারা কি মানব মনের উদ্ভাবন না আবিষ্কার?

বিষয়টি অস্বস্তিকর বটে। কেমন যেন এক যাত্রায় পৃথক ফলের মত ব্যাপার। নাকি ভিন্ন যাত্রাকে এক মনে হচ্ছে। এইখানে এরিস্টটলের জ্ঞানের ধারণা তার ধার হারিয়ে ফেলে। প্লেটোর ধারণাকে পুরোপুরি খন্ডন করা যায় না। কারণ বাস্তব সক্ষমতা ও প্রভাবের দিক থেকে আমাদের ধারণা ছিলো গণিতবিদরা বস্তুকে আবিষ্কার করেন, উদ্ভাবন নয়। এটা এক অর্থে পুরো প্যারাডাইম বদলে দেয়। এখন বলতে পারেন যদি আমাদের আশে-পাশে গণিতকাতর কোন ব্যক্তি না থাকত তবে কেউ ফর্মেন্টের সূত্র নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম হতো না, যেখানে মধ্যাকর্ষণ শক্তি ঠিকই অস্তিত্বশীল। তার কথা সত্য ও যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু কেউ কোনভাবে মধ্যাকর্ষণকে বুঝতে না পারলে এবং কেউ এটা প্রয়োগ না করতে পারলে এমন নয় যে এটা অস্তিত্বশীল নয়। সেখানে এই সূত্রগুলো কি?

জেমস রবার্ট ব্রাউনের ‘Philosophy of Mathematics: A Contemporary Introduction to the World of Proofs and Pictures’ (২০০৮) বইয়ের সাহায্য নেয়া যাক, উদাহরণ স্বরূপ, পিথাগোরাসের সূত্র যে চিন্তা ধারণ করে, সেটা চিরন্তন সত্য। স্বাধীনভাবেই সত্য । এর জন্য কোন বাহকের দরকার নাই। এটা এমন নয় যে এই সূত্রটি প্রথম যেদিন আবিষ্কার হলো শুধু তখন থেকে সত্য। এটা একটা গ্রহের মতো যেটা কেউ দেখার আগেই ছিলো, যার সাথে অন্য গ্রহগুলোর মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্ক আছে। (পিথাগোরাসের প্রথম সূত্র, কোন একটি সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের উপর অঙ্কিত বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ওই ত্রিভুজের অপর দুই বাহুর উপর অঙ্কিত বর্গক্ষেত্রদ্বয়ের ক্ষেত্রফলের সমষ্টির সমান।)

হয়তো এটা এখন কারো জন্য চমক নয়, প্রকৃতির নিয়ম পদার্থবিজ্ঞনীদের নজরে চিরন্তন সত্য। যে কেউ স্বাধীনভাবে এটাতে সত্য বলে গ্রহন করতে পারে। কিন্তু এই নিয়মগুলো কোত্থেকে আসে? ইতিমধ্যে প্রকৃতির নিয়মগুলোর কিছু একটা ব্যাখ্যা দেয়া হয়ে গেছে- এরমধ্যে এই সম্ভাবনা যুক্ত যে তারা এই বিশেষ দুনিয়ার জন্য আকস্মিকভাবে সাধারণীকৃত। অথবা এই নিয়মগুলোর নির্দিষ্ট সময় পরিসীমা আছে। এদের মধ্যে গাণিতিক কারণের সঙ্গতিপূর্ণ বিন্যাস আছে বলে আমাদের কাছে অধিক স্পষ্ট ও শক্তিশালীরূপে দৃষ্ট। এগুলো দিয়ে আগামী দিনের পূর্বাভাসও দেয়া যায়। এইজন্য গণিতকে হীরে জহরতের মতো চিরকাল দ্যুতিময় মনে হতে পারে। কিন্তু এই নিয়মগুলোতে গ্রাহ্য হওয়া অর্ন্তনিহিত সঙ্গতির মতো একইভাবে আমরা বৃত্তের নিখুঁত ধারণায় পৌঁছই না। এটা বস্তু বা শক্তি নির্ভর বিজ্ঞান ও গণিতের চিরায়ত সম্পর্ককে জটিল তোলে করে। সেটা আমাদের পদার্থিক দুনিয়ায় বিকল্প কোন প্রস্তাব দেয়। ঠিক বিকল্পটুকুই নয়, আরো বাড়তি কিছু।

এভাবে প্লেটোনিক ধারণা মাথায় নিয়ে গণিতে গেলে আপনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক ফলাফলের মুখোমুখি হতে পারেন। এর প্রধানটি হতে পারে শুধুমাত্র পদার্থকেন্দ্রিক বিজ্ঞানের ধারণা আপনার চিন্তার বন্ধ জানালা খুলে পালাতে পারে। বিজ্ঞানের এই পদার্থপরতা শুধুমাত্র শরীরি বিস্তারে অস্তিত্বশীল(স্থানে)। কিন্তু বৃত্তের ধারণা বা ফর্মেন্টের সূত্রের মধ্যে শরীরি বিস্তার নাই। সত্য যে, পদার্থের আলোচনা এখন আরো পরিশীলিত তত্ত্বের আকার নিয়েছে। এটা শুধুমাত্র বস্তু আর শক্তি নয় বিভিন্ন পদার্থগত বল ও তথ্যকে নিজের ভেতর যুক্ত করেছে।কিন্তু এটা সঠিকভাবে স্পষ্ট না যে,গাণিতিক বস্তু সমূহ পরিস্কারার্থে এই সম্প্রসারিত পদার্থের তত্ত্ববিদ্যার ধারণায় পড়বে কিনা। এর জবাব কি হবে। কারণ এর মধ্যে এমন কিছু আসতে পারে, যেটা বস্তু আর অবস্তুগত ধারণার সীমা গুড়িয়ে দেয়। এই ভাবনা অবশ্যই আপনাকে বিস্ময়ে স্তদ্ধ করে দেবার মত।

………………………………………………………………………………………………

ফেসবুক কমেন্ট:

Shaheen Mohammed Islam: i have reservation about this :এরিস্টটল বললেন, যখন নিখুত পরিপূর্ণ কমলালেবুর কথা বলি, এটা আর কিছু না বাস্তব জগতের কমলা লেবুসমূহের বিমূর্তকরণ মাত্র। দুনিয়ায় এতো এতো কমলা লেবু আছে বলেই এমন বিশুদ্ধ বা নিখুঁত বা পরম সার্বিক কমলা লেবুর ধারণা করা যাচ্ছে। নইলে এমন ধারণা আসত না। Is there any textual evidence for this?
August 7, 2011 at 10:46pm

Wahed Sujan: ধন্যবাদ স্যার। ‘বললেন’ ইউজ করা হলেও এটা এরিস্টটলের সরাসরি উক্তি অর্থে না। আমরা কথায় অনেক সময় যেভাবে ইউজ করি, আর কি। যে লেখা অনুসরেণ এটা তৈয়ার করা, আমি সেই মূল লেখার এই অংশটুকু এখানে পরে তুলে দিচ্ছি।
August 8, 2011 at 11:50am

Wahed Sujan:There is a difference between general Platonism and the mathematical flavor. For Plato, each apple, say, is but an imperfect example of the absolute (and perfect) Idea of an apple. But as Aristotle quickly realized, Plato has it exactly backwards: we arrive at the general idea of ‘apple’ by mentally abstracting a set of characteristics we think common to all actual apples. It is we who conjure the ‘perfect’ idea from the world, not the world copying the concept.
August 9, 2011 at 11:44am

Hasan Imam: আপনার লেখাটা আমাকে সমস্যায় ফেলে দিল- তা হলে কি আমরা এমন কিছু কল্পনা করতে পারি যাহা বস্তু জগতে নাই কিংবা বস্তু জগতের সাথে যার কোন মিল নাই?
August 9, 2011 at 1:22pm

Hasan Imam:  ‎@Wahed- if u can tell me something about the above ques would be very much appreciable. I m really interested in this. thanx
August 12, 2011 at 12:19am

Shaheen Mohammed Islam:  ‎@Wahed, about that portion — which I am critical. Like Plato Aristoltle is a realist, but the quote suggests that Aristotle is a nominalist. Remember Aristotle’s hylomorphism — that form and content are inseparable. Forms are no less real for Aristotle; so he cannot be a nominalist.
August 13, 2011 at 12:28am

Wahed Sujan:জ্বি স্যার, এই জায়গাটায় আমার কিছু প্রব্লেম আছে। nominalist পজিশনকে এড়িয়ে যাওয়া আমার জন্য কেমন যেন কষ্টকর ছিলো। তাই লেখার সময় কিছুটা নিজের পূর্বানুমান ও ব্যাখ্যা ঢুকে পড়েছে। হাসান ইমাম ভাই, সরি । কয়েকদিন ধরে হাটুর সমস্যায় ভুগছি। তাই কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারছি না।
August 13, 2011 at 4:27am

Wahed Sujan: এখানে আমরা দুটো বিষয় দেখতে পাই। একটা হলো প্লেটোর সার্বিকের ধারণা। আরেকটি হলো গণিতের নিখুঁত বৃত্ত জাতীয় ধারণা। এইদুটোর পেছনে আসলে কি অভিপ্রায় কাজ করে সেটা বিবেচনা রাখলে একটা সহজ সিদ্ধান্তে পৌছা যায়। বৈশিষ্ট্যসূচক দিকগুলোকে [একটা আপেল কেন কমলা থেকে আলাদা] আলাদা করে সংজ্ঞা দাড় করানো। যেটা প্লেটোতে সহজভাবে বুঝা যায়। অন্য দিকে জ্যামিতির ক্ষেত্রেও [একটা বৃত্ত নিখুত হতে হলে কি দরকার] একই বিষয় কাজ করে। এটাকে মানদন্ডও বলা যায়। এখন আমাদের কৌতুহলের বিষয়। আমরা এমন কিছু কল্পনা করতে পারি যাহা বস্তু জগতে নাই কিংবা বস্তু জগতের সাথে যার কোন মিল নাই? এই দুই উদাহরণে মনে হয় না আমরা এমন কিছু কল্পনা করতে পারি যার সাথে বস্তু জগতের মিল নাই। এই আলোচনাটা একটা ফ্রেমের ভেতরকার আলোচনা। তো, পদার্থ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সেটা তার নির্ণীত ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে চলে যাচ্ছে এমন ইঙ্গিত এখানে আছে। সে ইঙ্গিত বস্তু বা প্রাকৃতিক জগতের কিছুতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সমস্যা হলো পদার্থ বিজ্ঞানের আওতা এতদিন কোন পর্যায়ে ছিল বা আছে। এই লেখা মতে, ধারণার জগত সেখানে সমস্যা তৈরি করছে। সেটা সামলানোর পদ্ধতি তার আওতা বাড়ানো বা সংজ্ঞার বৈশিষ্ট্য ঠিক করা। আমি এই বিষয়ে খুব একটা জানি না। বিষয়টা আমার কাছে এইভাবেই এসেছে। @Hasan Imam
August 19, 2011 at 11:22pm

Hasan Imam: thanks wahed. i have also similar idea but i will b looking forward to more textual ref. however, i understand a perfect circle is not possible in reality, but can u mention any reason behind it? – u r not obliged to ans if u don’t want though.
August 20, 2011 at 5:42pm

Wahed Sujan:আপনার কথা বলার ধরণটা আমার ভালো লেগেছে। এই বিষয়ে ভাসা ভাসা কিছু কথা শুনেছি। কিন্তু রেফারেন্স এই মুহুর্তে আমার কাছে নাই। কোথায় যেন পড়ছিলাম মহাবিশ্বে কোন সরল রেখা সম্ভব না। সব রেখায় বক্র। যাইহোক, ইনশাল্লাহ সামনে এই বিষয়ে আরো কথা হবে।
August 22, 2011 at 3:16pm

Hasan Imam: Thank you, Wahed, for your kind and nice compliment, which actually complimented back to your lovely style. I have some idea to share with you about perfect circle if you like. Let us look at the definition of perfect-“conforming absolutely to the description or definition of an ideal type: a perfect sphere; a perfect gentleman”
Or “entirely without any flaws, defects, or shortcomings: a perfect apple; the perfect crime.”So firstly we have to give a definition of our perfect circle or apple and examine later if that has any flaws. It entirely depends on what we want. If we talk about circle, we want to draw a circumference with a constant (fixed) diameter. To serve our purpose we have to set a diameter, say 1 meter, and set a level of precision. What precision level we want- One micron- one millionth of a meter, or one billionth of a meter, or zero precision? If we say a circle of 1 meter diameter and zero precision level, and we can draw a circle, would that be a perfect circle? I think that is a perfect circle. What do you think?
But there is a big question mark (?). Whether is it possible to maintain a zero precision level? All 1 meter is not 1 meter some are 1.0000000000000000000000000000001 meter. That’s why to draw a perfect circle is not possible – because of natural variation, and human error. But what about a circle with diameter of 1 wave length of light? This could be possible, because length of one wave of light is always same in vacuum.
August 27, 2011 at 12:21pm

> লেখাটি মাসউদুর রহমান সম্পাদিত অনুবাদের কাগজ ঘুলঘুলি’র মে ২০১২ সংখ্যায় প্রকাশিতব্য।

Comments

comments

7 thoughts on “বস্তু ও ধারণার জগতের সম্পর্ক

  1. গণিতে তৈরী সূত্রগুলো আমার কাছে সব সময়ই প্রশ্ন বিদ্ধ মনে হয়। কারন,এই সূত্রগুলো মনে করে তার ১০০% র্নিভুল। কিন্তু তার ভুলে যায় যে, এই সূত্রগুলো তারা একটি নির্দিষ্ট সময় ও পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে তৈরী করেছে। এখন যে গানিতিক সূত্রটি পৃথিবীর মধ্যকর্ষন শক্তির উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে, তা হয়েছে পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট সময় ও পরিস্থিতি উপর ভিত্তি করে । চাঁদ যদি পৃথিবীর কাছে চলে আসে তবে এই সমস্ত গাণিতিক সূত্র গুলো ব্যর্থ করে যাবে।

  2. আমি পরিপূর্ণ একমত যে, বাস্তবে কোন কিছুকেই ১০০ভাগ র্নিভুল করা যায় না, করার চেষ্টা করা হয় মাত্র।
    ছোটবেলায় প্রথমে পরেছি – পৃথিবী গোল
    তারপর – কমলালেবুর মত গোল
    এখন জানি – গোল না উত্তর দক্ষিন একটু চ্যাপ্টা
    সত্যিই তাহলে প্রকৃতিতে কোন গোল জিনিষ নাই !!!!!

    • বিপ্লব,
      মন্তব্যের জন্য অশেষ শুকরিয়া।
      ১০০% নির্ভুল হওয়া একটা আদর্শিক (মানদন্ড অর্থে) ধারণা।
      এই জায়গায় আমরা কি করে যাবো- যদি ধরতে না পারি কোন বিষয়টা ১০০% নির্ভুল।
      সেক্ষেত্রে হাতের কাছে যা থাকে, তারে নিয়াই তো অগ্রসর হতে হবে।
      সেক্ষেত্রে ১০০% নির্ভুল হওয়া যাবে কিনা সেটা বড় নয়- বড়ো হলো কতটা ভুল আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।

  3. চমৎকার লেখা। আলোচনায় অংশ করতে পারলে ভাল লাগত কিন্তু সে মেধা আর নিজের মধ্যে দেখি না।

    আমি বিজ্ঞান ভালবাসি।
    শুভেচ্ছা।

Comments are closed.